দেশ

তৃতীয় ঢেউয়ের আগে রেমডিসিভির ও টসিলিজুম্যাব দেশে তৈরি কি সম্ভব? খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার সংক্রমণ। উঠে আসছে প্রতিদিনই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অবস্থার সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছেন করোনা চিকিৎসার অন্যতম রেমডিসিভির ও টসিলিজুম্যাব দেশে তৈরি সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশ গুলো জানা গিয়েছে, তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো রেমডিসিভির ও টসিলিজুম্যাব দেশে তৈরি সম্ভব কিনা, তা দেখা। সুইজারল্যান্ডের বহুজাতিক সংস্থা হফম্যান লা রোশে ‘র পেটেন্ট প্রাপ্ত ওষুধ হলো টসিলিজুম্যাব। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় এই ওষুধের ব্যবহার সেভাবে না হলেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এই ওষুধ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ঘটনা হল বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ওষুধ আমদানি করতে ভারতকে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, সময় থাকতে এই ওষুধের উৎপাদন দেশেই শুরু করে দিতে।

অন্যদিকে ৭টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থা রেমডিসিভির উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। প্রতিমাসে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভায়াল রেমডিসিভির উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি ৩ কোটি ভায়ালের বেশি এই ওষুধ তৈরি করেছে। দেশের সব কটি রাজ্যের চাহিদা পূরণ করার পর বিদেশের মাটিতেও রেমডেসিভির রফতানির ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

Related Articles

Back to top button
error: