HighlightNewsদেশবিনোদন

আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাই কি দায়ী? কেকে-র মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কে কে’র মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্গীতের জগতে। কে কে’র অকাল প্রয়াণে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে চলচিত্র জগতের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব সকলেই। বাংলার বিধাননগরের স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ডাকে সারা দিয়ে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের এসে ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কে কে বা কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে হোটেলে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। শিল্পির হঠাৎ মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেক ভক্ত যারা সেই নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারা অভিযোগ করেছেন, কেকে-র মৃত্যু জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাই দায়ী। এমনকী, অনুষ্ঠানে ঢোকার আগে ইট, পাথর, কাঁচ ছোঁড়ারও অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্টান কক্ষে প্রবেশ করা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে কনসার্ট দেখতে আসা জনতা। সঙ্গীত শিল্পী কে কে’র মৃত্য নিয়ে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ করে তদন্তের দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

কেকের কনসার্ট দেখতে আসা এক কলেজ শিক্ষার্থী এক সংবাদ মধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অনেকের কাছেই পাস ছিল। কেউ কেউ বিনামূল্যেও পাস পেয়েছিলেন। আবার অনেকেই পাঁচ হাজার টাকা দিয়েও অনুষ্ঠানের টিকিট কিনেছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগে পাস ছাড়াই অনেকে নজরুল মঞ্চে ঢুকে গিয়েছিলেন। ফলে আয়োজকদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি।’ সেই ছাত্রী আরও জানিয়েছেন, ধাক্কাধাক্কির ফলে অনেকেই আহত হন। এমনকী, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিলেন আয়োজকরা।

এক ভক্তের কথায় প্রচণ্ড ভিড়ের ফলে ক্রমশ গরম বাড়তে থাকে। এসি চালানো হলেও কোন রকমেই গরম কমেনি। তিনি বলছেন, ‘কেকে বারবার বলছিলেন, পিছন দিকের আলো নিভিয়ে দিতে। কারণ আলোর ফলে বেশি গরম লাগছিল। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও আলো নেভানো হয়নি।’ এ প্রসঙ্গে, মঙ্গলবার পুরমন্ত্রী তথা কলকতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, নজরুল মঞ্চে অনেক বেশি দর্শকের উপস্থিতিতে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন কি অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে? যদি তাই হয় তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে হোটেলে কেন তলা হয়? এই প্রশ্নও উঠছে।

জানা গিয়েছে, কেকে-র শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঠোঁটে এবং কপালে দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, গ্র্যান্ড হোটেল পড়ে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন কেকে। তবে প্রকৃত কারণ জানতেই ময়নাতদন্ত করা হয়। গ্র্যান্ড হোটেলে প্রকৃত পক্ষে কি ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের সমস্ত কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ক্ষতিয়ে দেখার জন্য সেখানে পৌছেছে গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক উইং।

Related Articles

Back to top button
error: