HighlightNewsদেশ

রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী কি ‘ইতিহাস’? স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা মোদী সরকারের! অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ বিরোধী সাংসদদের 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় মহাকাব্য হিসাবে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনীকে কি ‘ইতিহাস’ বলা যায়? এই বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। এবার মোদী সরকারের তৈরি নতুন সংসদ ভবনের ‘সংবিধান হল’-এর সংবিধান গ্যালারিতে সেই রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনীকেই ইতিহাস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার! অন্তত এমনই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী সাংসদদের একাংশ।

এই প্রসঙ্গে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি এরা পুরাণকে ইতিহাস এবং দর্শনকে ধর্মতত্ত্ব বলে চালাচ্ছে। ভারতের নতুন সংসদ ভবনের স্থপতিদের ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। যে ভারতীয় পরিচিতি সত্তা স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। তার বদলে এরা হিন্দুত্ববাদী পরিচিতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।”

রামমন্দির নিয়ে বিতর্কের সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, মানুষের ধর্মীয় আবেগকে হাতিয়ার করে রামায়ণকে ইতিহাস হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি। নতুন সংসদ ভবনের সংবিধান গ্যালারিতে ভারত কেন ‘গণতন্ত্রের জননী’, তার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এসেছে রামায়ণ-মহাভারতের কথা। বলা হয়েছে, দুই মহাকাব্যেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণের বিবিধ উদাহরণ রয়েছে। রামায়ণে রামের রাজ্যাভিষেক, মহাভারতে কুরু ও পুরুর রাজ্যাভিষেকের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সম্মতি জড়িত ছিল।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেন, “রামায়ণ-মহাভারত থেকে কেউ মূল্যবোধ অর্জন করলে তাতে সমস্যা নেই। তা থেকে হিংসা তৈরি হলে সেটা ঠিক নয়। তবে মোড়ল তান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা-সমিতি থাকলেও সেটাকে গণতন্ত্র বলতে গেলে অনেক তথ্যপ্রমাণ লাগবে।” নতুন সংসদ ভবনের স্থাপত্য গ্যালারিতে গুজরাতের ধোলাবিরাকে সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার নিদর্শন বলে তুলে ধরা হয়েছে। জহর বলেন, “সরস্বতীর অস্তিত্ব প্রমাণে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তার এখনও প্রমাণ মেলেনি।”

Related Articles

Back to top button
error: