HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

ঈদের দিনে পরীক্ষা ফেলা কি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে! সংখ্যালঘু বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি এসআইও’র

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: প্রতি বছরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ঈদের সময় পরীক্ষা নেওয়ার দিন ধার্য করা হয় রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এই ঘটনায় ঈদের দিনে পরীক্ষা ফেলার রীতি নিয়ে সংখ্যালঘু বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার হুঁশিয়ারি দিল ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখা (এসআইও)। দেখা যায় প্রতিবছরই দেশের প্রধান দুই উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা’র সময় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তারপর প্রতিবাদ করা হলে এই ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে পরীক্ষার সূচি বদল করা হয়। এই ঘটনাকে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উপর মানসিক নির্যাতন আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ জোড়ালো দাবি জানিয়েছে এসআইও।

প্রসঙ্গত, এই বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস বিভাগে পরীক্ষা নেওয়ার সূচী প্রকাশ করা হয়েছে ২৮ ও ২৯শে জুন। এই প্রসঙ্গে সংগঠনটির রাজ্য সভাপতি সাইদ বি এস আল মামুন উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, “ঈদের সময় পরীক্ষা গ্রহণের প্রচেষ্টা একটি ঘৃণ্য প্রয়াস। কোচবিহারের একজন পড়ুয়া কীভাবে ঈদ পালন করে ঈদের পরের দিন কলকাতায় এসে পরীক্ষা দেবে?” তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর ঈদের সময় পরীক্ষার নির্ঘণ্ট রাখা হয়। আর তারপর সূচি পরিবর্তনের দাবি উঠলে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে পরীক্ষার সূচি বদল করা হয়। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল আর কতদিন চলবে!” পাশাপাশি এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুলে তিনি বলেন, “বছরই ঈদের সময় সংখ্যালঘুদের পরীক্ষা নেওয়ার এই হয়রানি বন্ধ করতে সরকারি নির্দেশ জারি করতে হবে, নাহলে সংগঠন রাজপথে নামবে।”

Related Articles

Back to top button
error: