HighlightNewsদেশ

হরিয়ানার নূহে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নুহ্ সহিংসতায় সোহনার ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ। নুহ-র ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্রমাগত সব ধরনের সাহায্য প্রদান করছে। সহিংতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর মেরামতে সাহায্য করছে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ। উগ্রবাদীরা যে ব্যবসায়ীদের  দোকানঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তাঁদের দোকানঘর মেরামত করার জন্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকি সহিংসতায় যেসব নির্দোষদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরও বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন দল মোতায়েন করেছে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ। এছাড়া কারাগারে বন্দি শিশুদেরও জামিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী ও মাওলানা হাকিমুদ্দিন কাসমী এবং মাওলানা ইয়াহিয়া করিমী, জেনারেল সেক্রেটারি মুত্তাহিদা (পঞ্জাব)-এর নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জমিয়তের টিম। এই ধারাবাহিকতায়, জমিয়ত উলামা গুরুগ্রামের সভাপতি মুফতি সেলিম কাসমি বেনারসির সভাপতিত্বে, সোহনা, মেওয়াত ইত্যাদির ৭০টি দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী, জামাকাপড় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি দেওয়া হয়েছে। নুহ সহিংসতার কোপে অনেকের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ।

উল্লেখ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের একটি  ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির শুরু হয় নুহ্ ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের  জলাভিষেক যাত্রা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বজরং দলের সদস্য মনু মানেসর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উসকানিমূলক পোস্ট করে। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, দোকানপাট জ্বালানো এবং নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শান্তি বজায় রাখতে নুহতে কারফিউ জারি করা হয়। জারি হয় ১৪৪ ধারাও। নুহ্ সহিংসতায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে মসজিদের এক ইমামেরও মৃত্যু হয়। সূত্র – পুবের কলম পত্রিকা

Related Articles

Back to top button
error: