HighlightNewsদেশ

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে অপহরণ ও মারধর করে এনআরসি নিয়ে মতামত জানতে চাইল দুষ্কৃতীরা!

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে প্রথমে অপহরণ ও পরে মারধর করে এনআরসি ও অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত জানতে চাইল দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ করে এমনটাই জানিয়েছেন ফরাসি ভাষার সহকারী অধ্যাপক এবং একজন মারাঠি লেখক বাভিস্কর শরদ প্রহ্লাদ।

একটি প্রথম সারির ইংরেজি ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র তেলিগারফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ওই অধ্যাপক জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর দিল্লির বুরারি চকের কাছে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে দক্ষিণ দিল্লিতে তার ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে ফেরার সময় নেতাজি সুভাষ প্লেস ফ্লাইওভারের কাছে আচমকাই একটি গাড়ি তাঁকে ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর প্রায় ১২ কিলোমিটার ধরে তাঁকে ধাওয়া করার পরে, ওই অজ্ঞাতপরিচয় অনুসরণকারীরা তাঁকে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি ট্রাফিক সিগন্যালে ধরে ফেলে। এরপর ওই গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, তাঁদের গাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙার জন্য তাঁকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে।

টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরপর ওই অধ্যাপক এবিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের থানায় যেতে বললে তাঁকে টেনে তাদের গাড়িতে ওঠায় ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিরা। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন ভাবে অপমান এবং মারধর। ওই অধ্যাপক জানিয়েছেন, গাড়িতে বারংবার তাঁর দাড়ি ধরে টানাটানি করে জানতে চাওয়া হয় তাঁর নাম কি? তিনি নিজের নাম জানালে দুষ্কৃতীরা সেটা মানতে চায় না। এরপর তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকার্ডও দেখতে চায় তারা। এরপর তাঁকে দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের কাছে একটি বহুতলে নিয়ে গিয়ে সেখানে চেয়ারে বেঁধে লাঠি ও গরম রড দিয়ে মারধর করা হয়। এরপরে রাতে ২: ৩০টা নাগাদ তাঁর নিজের গাড়িতে করে তাঁকে নেহরু প্লেসের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পথে একটি এটিএম থেকে তাঁকে বাধ্য করা ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর দুষ্কৃতীরা রাস্তায় নেমে যায়।
ওই অধ্যাপক টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এধরণের ঘটনা যাতে আর কারুর সাথে না ঘটে তাই এবিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছেন।
এই ঘটনার পর জেএনইউ শিক্ষক সমিতি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। অগ্নিপরীক্ষার সময়, অধ্যাপক বাভিস্কর অনুকরণীয় সাহস এবং মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন যা জেএনইউ সম্প্রদায়ের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক, যারা অধ্যাপক বাভিস্করের অভিযোগের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: