নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: একে তো সার ও তেলের দাম বেড়েছে। তার উপরে বর্ষাকালেও দেখা নেই বৃষ্টির। দীর্ঘদিন ধরেই অল্প আধটু বৃষ্টি হলেও তা শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিপন্ন পাট চাষিরা। অন্য সময় পুকুর, ডোবা গুলো বৃষ্টির জলে কানায় কানায় ভর্তি থাকে। কিন্তু এবার একে বারে শুকনো। একে তো অনাবৃষ্টির কারণে এবার পাট চাষ খুবই খারাপ হয়েছে। তার উপরে পুকুর, ডোবা গুলো শুকনো হওয়ায় পাট পচাতে ১০০ টাকা লিটারে কেরোসিন তেল কিনে মেশিনের সাহায্যে পানি দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে রোজের দামও বেড়ে যাওয়ায় পাট কেটে পচানো থেকে শুরু করে, তা ছাড়ানো ও বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতেই খরচ পড়েছ অনেক বেশি। কিন্তু এত কষ্ট করার পরেও চাষিরা বাজারে পাটের ভালো দাম পাচ্ছেন না। যার ফলে এই বছর পাট চাষে লাভের কোনো সম্ভাবনাই দেখ ছেননা চাষিরা।
যেমন এক পাট চাষি দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে টিডিএন বাংলাকে জানিয়েছেন, “এই বছর পাট চাষ করে আমরা বিপদে পড়েছি। বৃষ্টির অভাবে মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেক পাট। তাও যেটুকু হয়েছে বাজারে পাটের দাম খুবই কম হওয়ায় চাষের খরচ উঠবে কিনা তাই সন্দেহ হচ্ছে।” উত্তর ২৪ পরগনার গোলাবাড়ি চাঁদপুর গ্ৰামের বাসিন্দা অপর এক পাট চাষি আব্দুল হামিদ বলেন, “বৃষ্টির দেখা নেই। সারের দাম ৫০ টাকা ও তেলের দাম ১০০ টাকা। ফলে এবছর পাট চাষে বিশাল ক্ষতি হয়েছে। এখন দেনা মেটাবো কিভাবে সেটাই বুঝতে পারছি না। এখন সার কিনবো, তেল কিনবো না পরিবারের খাওয়ার জোগান দেব?”
পাট চাষিদের অভিযোগ, পাট থেকে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা। তাদের যথাযথ দাম দেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তারা সরকারের কাছে আবেদন করেন তাদের সমস্যার দিকে নজর দেওয়া হোক। তাদের দাবি, তারা যাতে পাটের যথাযথ দাম পান সেই ব্যবস্থা করুক সরকার। অন্যথায় তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে আক্ষেপ করেছেন।