বড়সড় স্বস্তি কাফিল খানের! ফৌজদারি মামলা খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : অবশেষে স্বস্তি। ২০১৯ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ছিল চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে। এই মামলায় স্বস্তি পেলেন তিনি। টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে কাফিল খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে কাফিল যে আবেদনপত্র জমা দেন, তারসঙ্গে একমত হন বিচারপতি গৌতম চৌধুরী। আবেদন পত্রে বলা হয়, আলিগড় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমতি নেয়নি পুলিশ। যা বাধ্যতামূলক ছিল। কাফিলের এই যুক্তির সঙ্গে একমত হন বিচারপতি। ওই পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি মামলাটি পুনরায় নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছেন।

হাইকোর্টের এই নির্দেশে খুশি ডাঃ কাফিল খান। একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, “এই নির্দেশ ভারতের জনগণের কাছে একটি বড় জয়। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আবারও ফিরে এসেছে। হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর ওপর যোগী সরকার যে দমননীতি প্রয়োগ করছে তা প্রকাশ্যে এসে গেছে। আমরা আশা করি এই সাহসী রায় ভারতের গণতন্ত্রপন্থী সব নাগরিক ও জেলবন্দী সমাজকর্মীদের আশা যোগাবে। ভারতীয় গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।”

২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিএএ-বিরোধী সভায় উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাফিলের বিরুদ্ধে। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এই অভিযোগে কাফিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে কাফিল খানের এই দীর্ঘমেয়াদি হেফাজতকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে তাঁকে অবিলম্বে জামিনের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। একই রায় দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্টও।এরপর ভারতীয় দন্ডবিধির অধীনে ফৌজদারি মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।