টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কেরলে করোনার গ্রাফ কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যার প্রায় ৭০% রোগী বিজয়নের রাজ্যে। এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট-এর পর এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া মাথাব্যথা করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘মিউ’। এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে হু।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, বিজয়নের রাজ্যের বর্তমানে যা অবস্থা তাতে শুধু বিধিনিষেধ আরোপ করলে চলবে না। স্ট্র্যাটেজিক লকডাউন করার প্রয়োজন রয়েছে। টিকাকরণের দেশের এক নম্বর রাজ্য ছিল কেরল। সেই রাজ্যের এই হাল জুলাইয়ের শেষভাগ থেকে। সেই সময় আংশিক লকডাউন সহ বিধি-নিষেধের নানা বেড়াজালে থাকলেও আগস্ট এর মাঝামাঝি ওনামের জন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। মানুষ সেই সুযোগে মাস্ক না পড়ে, দূরত্ব বজায় না রেখে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। সেই সুযোগেই খেল দেখাচ্ছে কোভিড নাইনটিন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কেরলের ৮৫% করোনা রোগী বর্তমানে বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। এই রাজ্যের পাশাপাশি কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেরালাকে স্মার্ট ও কৌশলগত লকডাউনের পথে হাঁটতেই হবে। কেন্দ্র বলছে, কেরলে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রতিটি অঞ্চল ভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা উচিত। করোনা রোগীদের কেবলমাত্র হোম আইসোলেশনে রেখে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে ওই রাজ্যে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা অবধি কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে লকডাউনও জারি ছিল আগে থেকেই।