বিধানসভার মূল ফটকে খলিস্তানি পতাকা, পাঁচিলের দেওয়ালে স্লোগান, নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর

হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার গেটে এবং পাঁচিলের দেওয়ালে খলিস্তানি পতাকা ও স্লোগান। ছবি সৌজন্যে @AskAnshul-এর টুইটার পেজ।

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রবিবার সকালে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার মূল ফটকে দেখা গেল একাধিক খলিস্তানি পতাকা এবং পাঁচিলের দেয়ালের গায়ে বেশ কিছু জায়গায় খলিস্তানপন্থী স্লোগান। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হিমাচল প্রদেশে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হিমাচল পুলিশ। সরিয়ে ফেলা হয় পতাকাগুলি। এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অজ্ঞাতনামা অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে হিন্দি ভাষায় তিনি এদিন লেখেন,”বিধানসভা ভবনে এভাবে খলিস্তানের পতাকা লাগানোর মত কাপুরুষোচিত কাজের নিন্দা করছি। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র শীতকালীন অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে। ফলে আরো বেশি নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বিধানসভা চত্বরে। যা ঘটেছে সেই বিষয়ে তদন্ত হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে এই ঘটনার পরে সংবাদমাধ্যমকে জেলা প্রশাসক নিপুণ জিন্দাল জানিয়েছেন,”দুষ্কৃতীরা বিধানসভা ভবনের মূল ফটকে ৫ থেকে ৬টি খলিস্তানের পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়। এই সঙ্গে পাঁচিলের গায়ে খলিস্তানপন্থী স্লোগান লিখে গিয়েছে।”জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কাংরা পুলিশের কাছে বিধানসভা ভবনে খলিস্তানের পতাকা টাঙানোর খবর পৌঁছয়। এরপর তড়িঘড়ি সরিয়ে ফেলা হয় ওই সমস্ত পতাকা। একইসঙ্গে বিধানসভা ভবনের দেওয়াল থেকে স্লোগানগুলিও মুছে ফেলা হয়। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব থেকে আসা কিছু পর্যটক এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে ধারণা কাংরা পুলিশের।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছিল খলিস্তান পন্থীরা এধরনের পতাকা উত্তোলন করতে পারে। গোয়েন্দা বিভাগের ওই সতর্কবার্তায় দাবি করা হয়েছিল, শিখ ফর জাস্টিস প্রধান গুরুপতবন্ত সিং পান্নু হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সিমলায় ও ভিন্দ্রাওয়ালায় খালিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে।