টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ দিল্লিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিহার কংগ্রেসের বলিষ্ট নেতা কীর্তি আজাদ ও জেডিইউ এর প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা। কিছু দিন আগে থেকেই এই দুই নেতার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণিত হল। এছাড়া এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাভেদ আখতার, এই সাক্ষাৎ নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলে যোগ দিয়েই কীর্তি আজাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি। দল যা দায়িত্ব দেবে সেটাই করব। দেশের এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই নেত্রী দরকার।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে বিভাজনের যে রাজনীতি চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনভাবে আমিও দেশের সেবা করি ও করতে চাই। দেশের হয়ে খেলেছি। তিনবার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছি। অবসরের আগে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করব।” অন্যদিকে পবন বর্মা বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার প্রয়োজন রয়েছে।”
কীর্তি আজাদ হলেন, বিহারের রাজনীতিতে অন্যতম বড় একটি মুখ। তাঁর বাবা ভগত ঝা আজাদ ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কীর্তি নিজেও দ্বারভাঙা থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছেন তিনি। ফলে কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিহারে ঘাসফুল শিবিরের শিকড় মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২৬ বছর BJP-তে থাকার পর তিন বছর আগেই পদ্ম ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই হাত শিবিরে সামিল হন তিনি।
উল্লেখ্য যে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরে জাতীয় স্তরেও আরও দৃঢ় হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন। ইতিপূর্বে যশবন্ত সিনহা, লুইজিনহো ফালেরিহো, লিয়েন্ডার পেজ সহ বহু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং জাতীয় স্তরের নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দিল্লির মসনদে বসার লক্ষ্যেই তৃণমূল রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এছাড়া মমতা দিল্লি সফরে আরও কিছু চমক দেখাবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।