তৃণমূলেই ফিরলেন কৃষ্ণ কল্যাণী, দলবদলেই আক্রমণ গেরুয়া শিবিরকে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ৩০ তারিখ রাজ্যের চারকেন্দ্রে (দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা) উপ-নির্বাচন।তার আগে জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। কথায় বলে, ”কারও পৌষ মাস/কারও সর্বনাশ।” সর্বনাশ যদি হয় বিজেপির, তাহলে এখন পৌষমাসের মরশুম তৃণমূলের। জল্পনা সত্য করে তৃণমূলে ফিরে এলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আর পতাকা বদল করেই ক্ষোভ উগরে দিলেন পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে।

বেশ কয়েকদিন থেকেই রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এর জেরে তাঁকে শোকজও করা হয়। তাঁর এমন বেসুরো মন্তব্যে অনেকেই বলছিলেন, তাহলে কি এবার দলবদলাতে চলেছেন বিধায়ক? বুধবার সেই জল্পনায় ইতি টানলেন। তৃণমূলে ফিরে এলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে নেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপিতে ভালো কাজের মূল্যায়ন হয় না। ওই দলে মানুষের জন্য কাজের সুবিধা নেই। আছে শুধু ষড়যন্ত্র।আমি ভালো কাজ করেও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল।’
শুধু তাই নয়। মৃল্যবৃদ্ধি নিয়েও তোপ দাগেন বিজেপিকে। এদিন ফের একবার দেবশ্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। ছেড়ে কথা বলেননি শুভেন্দু অধিকারীকেও। কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলে যোগ দিতেই সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এরা হল রাজনৈতিক ব্যবসায়ী। নীতি আদর্শের জন্য বিজেপিতে আসেননি। এরা ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে ভালোবাসেন।’

রায়গঞ্জের বিধায়ক এদিন ফুলবদল করতেই জেলার মোট ৯টি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে গেল। কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলে ফেরায় রাজ্যে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা হল ৭০।