টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর শুধুমাত্র নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বুধবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর জনশৃঙ্খলা, পুলিশ এবং জমি ছাড়া সমস্ত বিষয়ে দিল্লি সরকারের পরামর্শে কাজ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘নির্বাচিত সরকারের যদি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকে, কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের রিপোর্ট করা বন্ধ করে দেন বা তাদের নির্দেশনা না মানেন, তাহলে জবাবদিহিতার নীতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবে।’
আদালত বলেছে, দিল্লি একটি পূর্ণ রাজ্য নাও হতে পারে, তবে আইন করার অধিকার রয়েছে। রাজ্যের শাসন যেন কেন্দ্রের হাতে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সব বিচারক একমত, এধরণের ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ বিচারপতি ভূষণের ২০১৯ সালের রায়ের সাথে একমত নয়, যা বলেছে, যুগ্ম সচিব স্তরের উপরে অফিসারদের উপর দিল্লি সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই।
এই মামলায় এর আগে, ১৮ জানুয়ারি রায় সংরক্ষণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, বদলি ও পদায়নের অধিকার নিয়ে দিল্লি সরকার এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। দিল্লি সরকার বলেছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আর এই নিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিল দিল্লি সরকার।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। বিষয়টি ২০২২ সালের ৬ মে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল।