দেশ

ভিডিও ভাইরাল: চলন্ত ট্রেনের সামনে ‘সুপারম্যান’ হয়ে শিশুকে বাঁচালেন রেলকর্মী, ময়ূর শেলকে সংবর্ধিত করল রেল

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যা দেখে গায়ে কাঁটা দেবে সবারই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর দুয়ার থেকে এক শিশুকে বাঁচালেন জনৈক ব্যক্তি। দু-এক সেকেন্ড দেরি ট্রেনে কাটা পড়তেন হলেই শিশুসহ জনৈক ব্যক্তি।

গায়ে কাঁটা দেওয়া এই সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখুন সেই ভিডিয়ো :

ভিডিওটি নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করে সেই ব্যক্তিকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাকে বাস্তবের ‘সুপারম্যান’বলে আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ।

ভিডিওটি শেয়ার করে সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে রেলমন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার ময়ূর শেলকে নামের ওই পয়েন্টসম্যান হিসাবে কর্মরত রেলকর্মীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় রেলের আধিকারিকরা তাঁকে সম্মান জানান।

তারা জানিয়েছে, ভারতের সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুম্বাই ডিভিশনের ভাগাগানি রেলস্টেশনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা এটি। আর বাস্তবের ‘সুপারম্যান’খ্যাত ব্যক্তিটির নাম ময়ূর শেলকে। তিনি ওই স্টেশনের একজন রেলকর্মী (পয়েন্টম্যান)।

ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন ডিউটি পালন করছিলেন ময়ূর। অদূরে দাঁড়িয়ে তিনি দেখতে পান একটি শিশু রেল লাইনে পড়ে গিয়েছে। আর ওই লাইন দিয়েই ছুটে আসছে ট্রেন। তখন কনো সময় নষ্ট না করে ওই রেলকর্মী ছুটে যান। নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন রেললাইনে। শিশুটিকে প্লাটফর্মে তুলে নিজেও লাফিয়ে উঠে পড়েন। মাত্র সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি জীবন রক্ষা পায়।

সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা সন্তানকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মা।

এই ঘটনার ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও।

ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন- ময়ূর শেলকের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আমরা ময়ুর শেলকে-কে নিয়ে খুব গর্বিত। মুম্বাইয়ের ভানগানি রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় তিনি ব্যতিক্রমী ও সাহসী কাজ করেছেন। নিজের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে। আমরা তার সাহসিকা ও কর্তব্যটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

এভাবে ট্রেনের মুখোমুখি ছুটে গেলেন, ভয় করেনি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ময়ূর জানালেন, ‘সত্যি বলতে যখন ছুটে যাচ্ছিলাম, সামনে ট্রেনটি দেখে একটু ভয় করেছিল। কিন্তু নিজের কথা ভাবিনি বেশি। ওই মুহূর্তের মধ্যে শিশুটিকে বাঁচানোই মাথায় চেপে বসেছিল।’

সন্তানের প্রাণ রক্ষা করায় ময়ূরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিশুটির মা।
ময়ূর বলেন, ‘শিশুটির মা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আমাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

Related Articles

Back to top button
error: