টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়ির নিচের বসার ঘরে সোফায় আগুন লেগে যায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পারে যায় খাট, বিছানা। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
এদিন সকালে যখন আগুন লাগে মদন মিত্রের বাড়িতে সে সময় মদন মিত্র ও তার পরিবারের প্রায় সমস্ত সদস্যরাই বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। আগুনের কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রত্যেক সদস্য। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও বর্তমানে সুস্থ আছেন মদন মিত্র নিজেও।
মদন মিত্রের ভবানীপুরের এই বাড়িটি প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো। দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত মদন মিত্র দক্ষিণেশ্বরে নিজের এপার্টমেন্টে থাকিও সোমবার রাতেই ভবানীপুরের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। ভবানীপুরের এই বাড়িতে থাকেন তাঁর বড় ছেলে ও নাতি। জানা গেছে, এ দিন আগুন লাগার সময় ভবানীপুরের এই শতাব্দীপ্রাচীন বাড়ির দোতলায় ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। হঠাৎই আগুনের কালো ধোঁয়ায় গোটা বাড়ি ভরে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে সবাই বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন,”আজকে অনেকের মৃত্যু হতে পারত। আমার পাড়ার লোকেরা আগুন নেভানোয় হাত লাগিয়েছে। দমকল সময় মতো এসেছে। এই কারণেই বেঁচেছি। আমি নিজে সিওপিডি পেশেন্ট, আমি এই ধোঁয়ায় কষ্টটা সামলাতে পারছি না। প্রাণে বেঁচেছি এই জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।”