পুলিশের হেফাজতে আলতাফের মৃত্যুতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। ওই মুসলিম যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল থানায়। তারপরেই আলতাফের রহস্য মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁসের কারণে মৃত্যু হয়েছে আলতাফের। এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে আলতাফের বিরুদ্ধে। যেখানে কাজ করতেন আলতাফ, সেই মালিকের মেয়ে নিখোঁজ ছিল। মালিকের সন্দেহ গিয়ে পড়ে আলতাফের ওপর। থানায় অভিযোগ দায়ের করে নিখোঁজ কিশোরীর বাবা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ওই যুবককে। মঙ্গলবার পুলিশি হেফাজতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তার। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরাই খুন করেছে তাদের সন্তানকে। অন্যদিকে পুলিশ দাবি করে, আলতাফ নিজেই জ্যাকেটের হুড থেকে তার বের করে আত্মহত্যা করে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই পাঁচ জন পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মৃত যুবকের বাবা চাঁদ মিয়া জানান, “সোমবার সন্ধ্যায় ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আমাকে জানানো হয় সে গলায় দড়ি দিয়েছে।” পুলিশি তদন্তে তিনি যে খুশি নন, তাও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে।

ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যোগী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয় যোগীর রাজ্যে কোনও সুশাসন নেই বলেও তোপ দেগেছে বিরোধীরা। ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ্যে না এলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সেই মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।