টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দুইজন বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানে একটু ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছিল। শপথ অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে স্পিকার, মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী ও রাজ্যপাল চা-চক্রে মিলিত হন। দীর্ঘক্ষন আলোচনা চলে তাদের। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সম্পর্কের পারদ কি তাহলে কমতে শুরু করলো। কিন্তু শুক্রবার আবারো তাল কাটলো। শপথ অনুষ্ঠানেই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে ছিলেন কয়েকজন আধিকারিককে ডেকে পাঠানো সত্বেও তারা রাজভবনে জাননি। সেদিন কোনো উত্তর না দিলেও শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চিঠি লিখে রাজ্যপালকে জানিয়ে দিলেন তাকে না জানিয়ে রাজ্যের কোন আধিকারিককে ডেকে পাঠাতে পারে না রাজভবন। কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ তাকে জিজ্ঞাসা করবেন। কোন আধিকারিককে পাঠানো হবে তা ঠিক করবো আমি। প্রয়োজনে রাজ্যপালের সম্মানার্থে প্রত্যেক মাসে কয়েকজন আধিকারিককে রাজভবনে পাঠানো হবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রাজ্যপাল নিজে কোন আধিকারিককে ডেকে পাঠাতে পারেন না। এটা রাজ্যপালের এখতিয়ারে নেই। চিঠি মারফত এমনই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য যে, প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-এর সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু এবারে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার ও প্রশাসনের কাজের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে। এবার কি সেই সম্পর্ক আরো খারাপ হতে চলেছে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।