গোয়ায় কি মমতা-বিজয় জোট? জল্পনা তুঙ্গে

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ গতকাল শনিবার গোয়া সফরের শেষ দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই এক বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকের পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি কি ঐক্যজোট গড়তে চলেছে। ইতিপূর্বেই বিজয় সরদেশাই জোট প্রসঙ্গে বলেছিলেন, গোয়ার মানুষ কি চায় তার উপর নির্ভর করছে জোটের সিদ্ধান্ত।

আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়া বড় কথা নয়। বড় কথা হল— বিজেপিকে হারাতে হবে। দিল্লির দাদাগিরি গোয়ায় চলবে না। আর সেজন্য তিনি ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়তে চান। অন্যদিকে বিজয়ও জানান, বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়া তাদের লক্ষ্য। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল নেত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে তিনি জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চান। শনিবার বেলা ১০ টা নাগাদ গোয়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে। বৈঠক শেষে বিজয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়া তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য। তাই জোটবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। সেই বিষয়েই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে বলে জানান বিজয়। অবশ্য জোটের আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে সে বিষয়ে দুপক্ষের কেউই কিছু জানাতে চাননি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর প্রতিক্রিয়া, “আমরা তো চাই আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হতে। সেই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। এবার ওরা চিন্তা ভাবনা করুক।” এ দিন সকালে মমতার সঙ্গে দেখা করার আগে একটি ট্যুইট করেন বিজয়। সেখানে তিনি লেখেন, “বিজেপিকে টক্কর দিতে গোয়ায় একটি শক্তিশালী টিম তৈরির জন্য দু’বছর ধরে প্রতীক্ষায় রয়েছি। দুর্নীতিতে ভরা বিজেপি সরকারকে সরাতে বিরোধী ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।” গোয়া সফর সেরে ফেরার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও আমজনতাকে অভয় দিয়ে মমতা বলেন, “গোয়ায় তৃণমূল থাকবে। আমাদের সব নেতারা এখানে আসছেন। আমিও এলাম। আবার আসব। বিজেপিকে উৎখাত করেই ছাড়ব।” প্রসঙ্গত, শনিবারই গোয়া সফরে আসেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। যেভাবে কংগ্রেস শিবির ভেঙে তৃণমূল, বিজেপিতে যোগদানের স্রোত তেজ হচ্ছে তা আটকাতে অর্থাৎ দলের ভাঙন রুখতে রাহুলের এই সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।