টিডিএন বাংলা ডেস্ক : মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন আরিয়ান খান। যেদিন তিনি গ্রেফতার হন, ওইদিন ভাইরাল হয় একটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, লাল চেক শার্ট ও সাদা টি-শার্ট পড়ে বসে আছেন আরিয়ান। তার সামনে বসে সেলফি নিচ্ছেন এক ভদ্রলোক। প্রথমে প্রশ্ন উঠেছিল, মাদক তল্লাশিতে গিয়ে তবে কি স্টার কিডের সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন এনসিবি আধিকারিকরা? বিতর্ক এড়াতে জবাব দেয় এনসিবি। তারা জানায়, সেলফিতে যাকে দেখা গিয়েছে তিনি তাদের অফিসার নন। আর তারপরেই মাথাচাড়া দিয়েছে নয়া বিতর্ক। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক।
ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে এনসিপি। নবাব মালিক এর দাবি, “শাহরুখের ছেলের গ্রেফতারের পর তাকে হাত ধরে যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি কেপি গোসাভি। একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ।” তিনি বলেন, “আমার প্রশ্ন, তিনি তো এনসিবি আধিকারিক নন। তাহলে এনসিবি অফিসে তিনি কী করছিলেন? জাহাজে তল্লাশি চলার সময় তিনি সেখানে কী করছিলেন? দ্বিতীয় যে ব্যক্তি আরবাজ মার্চেন্ট এর হাত ধরে এনসিবি অফিসে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি মণীশ ভানুশালী। উনি বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট। নরেন্দ্র মোদি থেকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে ছবিতে তাকে দেখা গেছে। এনসিবির কাছে জানতে চাই, তল্লাশির সময় এই লোকগুলো সেখানে কী করছিল? এই ধরনের হাইপ্রোফাইল তল্লাশির ক্ষেত্রে কি বাইরের লোককে নিয়ে যাওয়াটা নীতি?”
মালিকের দাবি, মালয়েশিয়ার ডিটেকটিভ গোসাভির বিরুদ্ধে পুলিশি মামলা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি এনসিবি আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ। ওই নেতার আরও দাবি, আরিয়ানের গ্রেফতারি পুরোটাই নাটক। গত একমাস ধরে মিডিয়ায় খবর ঘুরছে, তাদের পরবর্তী টার্গেট শাহরুখ খান। আর সেটাই সত্যি হলো। বিজেপি এনসিবি-কে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করতে চাইছে। যারা বিজেপি বিরোধী তাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুরোটাই সাজানো। মাদক উদ্ধারের নাটক করে মহারাষ্ট্র সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এনসিবি আধিকারিক জ্ঞানেশ্বর সিং অবশ্য অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।