২৮ বছরের যুবকের সঙ্গে ৭ বছরের শিশুর বিয়ে: কনের মেকআপে মোবাইলে গেম খেলতে দেখা গেল কন্যাকে; সাড়ে ৪ লাখে বিক্রি করেছিল পরিবারের সদস্যরা!

ছবি সূত্র- The New Indian Express

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজস্থানে, সাত বছরের একটি মেয়েকে সাড়ে চার লক্ষ টাকায় কিনে নিয়ে দেওয়া হল ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে কনের সাজে একটি মেয়েকে দেখতে পায় যে মোবাইলে গেম খেলছিল। মেয়েটির হাতে মেহেন্দি ছিল এবং পায়ে বিছে-পায়েল পরা ছিল। ঘটনাটি ঘটে ধলপুর জেলার মানিয়া থানা এলাকায়।

এসপি মনোজ কুমার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গভীর সন্ধ্যায় মানিয়া থানার ইনচার্জ লখন সিং খবর পান যে ২১মে বীরজাপুরা গ্রামের একটি পরিবারের যুবক ভোপাল সিং(২৮)-এর সাথে সাত বছরের এক শিশুর বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তথ্যদাতার কাছ থেকে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সিও দীপক খান্ডেলওয়ালের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের দল অভিযুক্তের খামারে তৈরি বাড়িতে পৌঁছলে জিন্স ও টি-শার্ট পরা ৭ বছরের এক কিশোরীকে মোবাইলে গেম খেলতে দেখা যায়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে কিছুই বলতে পারেনি। অভিযুক্ত ভূপাল সিং এবং তার বাবা মহেন্দ্র সিং (৭৩), বিরজাপুরার বাসিন্দা কাঞ্চন সিংয়ের ছেলেকে একটি নাবালিকাকে কিনে এনে বিয়ে করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসপি বলেন, পুলিশ যখন বাড়িতে খুঁজে পাওয়া পরিবারের মহিলাদের কাছে ওই শিশুর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন প্রথমে তারা তাদের দূরের আত্মীয় বলে জানায়। সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে, পুলিশ কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, যে মেয়েটিকে অন্য গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে এবং তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মানব পাচারের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহকারী পুলিশ সিও দীপক খান্ডেলওয়াল বলেছেন, ধোলপুর জেলায় অতীতেও এধরণের কেনা বেচার ঘটনা সামনে এসেছে। এবার সাত বছরের নিরীহ শিশুকে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানিয়া থানায় পোস্টেড এএসআই এবং শিশু কল্যাণ আধিকারিক সুরেশ চাঁদ মানব পাচার, বাল্যবিবাহ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছেন।