নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা : সম্প্রতি সময়ে কর্নাটকের একটি কলেজের হিজাব বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য তথা দেশ। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, ‘দেশে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধ্বংস করার অপচেষ্টা চলছে’ বলে অভিযোগ করলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। এই হিজাব বিতর্ক শেষ পর্যন্ত যায় কর্নাটক হাই কোর্টে। কিন্তু কর্নাটক হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় কলেজের নির্ধারিত ড্রেস পড়েই যেতে হবে কলেজে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্বহীন ভূমিকা এক শ্রেণির মানুষের মনে দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করতে পারে। যা দেশের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক।’
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হিজাব বিতর্ক বিষয়ে কর্নাটক সরকারের ভূমিকা ও কর্নাটক হাইকোর্টের রায় এদেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের চেতনায় আঘাত করেছে।’ এই মামলার রায়ে কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়ে ছিল হিজাব ইসলামে অবশ্যপালনীয় কোনো বিধান নয়। এ প্রসঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসলামী নীতিমালার ব্যাখ্যা প্রদানের অধিকার শুধুমাত্র ইসলামী ধর্ম তত্ত্বের বিশেষজ্ঞদের। ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ ও বিদ্বেষীদের নয়।’
তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কিছু মানুষ বিভিন্ন জাতি বা গোষ্টির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার খর্ব করতে দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিত করছে। এরাই মাঝে মাঝে কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। কামরুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধ্বংস করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ, এদেশের সকল শ্রেণির মানুষ দেশের অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে, সুদৃঢ় রক্ষাকবচ নির্ণয় করেছেন।’