টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আজ দেবভূমি কেদারনাথ দর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন আদি গুরু শঙ্করাচার্যের মূর্তি উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেবভূমিতে। এই নিয়ে পাঁচবার কেদারনাথে এলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকালে দেরাদুনে নামার পর তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর গুরমিত সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এদিন মন্দিরে বেশ কিছুক্ষণ আরাধনা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অক্টোবরের ৭ তারিখ উত্তরাখণ্ড যান প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় ঋষিকেশে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন তিনি। শুক্রবার কেদারনাথে একাধিক কর্মসূচির পাশাপাশি ২০১৩ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শঙ্করাচার্যের পুনর্নির্মিত মূর্তির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অষ্টম শতাব্দীর দ্রষ্টা আদি গুরু শঙ্করাচার্য কেদারনাথেই মোক্ষলাভ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “দেবভূমিকে বিশ্বের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। তিনি যা করেছেন গত ১০০ বছরে কেউ তা করার কথা ভাবেনি।”
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর একাধিকবার এই তীর্থ ক্ষেত্রে এসেছেন নমো। এর আগেও কেদারনাথের গুহাতে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সামনে আসে। এমনকি মন্দির সামনে স্থানীয় পোশাকেও তাঁকে দেখা দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এতো ঘনঘন উত্তরাখণ্ড সফরে লেগেছে রাজনীতির রঙ। অনেকেই বলছেন, পরের বছর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ওই রাজ্যে এখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে এখন থেকেই পরোক্ষে ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, আগামী বছর উত্তরাখণ্ড সহ মোট ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই রাজ্য গুলি বেশিরভাগই বিজেপির দখলে রয়েছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই এই রাজ্যগুলির ক্ষমতা ধরে রাখাই বিজেপির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাই মোদিকেই প্রচারের মুখ করে এখন থেকেই পরোক্ষে ময়দানে নামাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এমনই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।