টিভিএন বাংলা ডেস্ক: দিল্লিতে সদ্য অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডায় ভারত বিরোধী খলিস্তানি তৎপরতা ও খলিস্তানি জঙ্গিদের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে কড়া বার্তা দিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এটা দেশের মানুষের বাক্ স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হিসাবে ব্যাখ্যা করে ছিলেন ট্রুডো। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানায়, খলিস্তানিদের সম্পর্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে পাকিস্তানের অবস্থানের কোনও ফারাক নেই।
এরপর জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর বিমান খারাপ হয়ে যাওয়ায় ট্রুডো পরিবার নিয়ে আরও তিনদিন দিল্লির হোটেলে থেকে যান। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ভারত সরকারের কোনো প্রতিনিধি তার সঙ্গে দেখা করেনি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি ক্ষুদ্ধ বলেই অনুমান করা হয়েছিল। এবার দেশে ফিরেই সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। গতকাল শনিবার ট্রুডো সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষে আগামী মাসে ভারতে কানাডার যে বাণিজ্য মিশন আসার কথা ছিল তাই বাতিল করছে কানাডা সরকার।
উল্লেখ্য যে, ভারতের পর কানাডাতেই শিখরা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাস করে। তারা মূলত সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক এবং ভোটের স্বার্থেই কানাডা প্রশাসন খলিস্তানিদের প্রতি নরম, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের টাকা-পয়সা জোগায় কানাডার খলিস্তানিরা। তারা পাঞ্জাবকে পৃথক রাষ্ট্র অর্থাৎ স্বাধীন দেশ হিসাবে পেতে চায়।