বাংলাদেশে কোরান অবমাননা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলাঃ কুরআন অবমাননার চক্রান্তের অভিযোগ ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ উভয় ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম বুদ্ধিজীবি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে বলা হয়, “যারা হঠকারী ঘটনাকে বাহানা করে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্বিচারে আক্রমণ করছে তা অতিসত্বর বন্ধ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার আন্তরিক হলে দুষ্কৃতীদের দমন করা কয়েক ঘন্টার বিষয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের সোচ্চার দাবি, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা আশঙ্কা করছি, ওপারের দুষ্কৃতীদের সহদর ভাইরা এখানে সক্রিয় হওয়ার জন্য ওৎপেতে আছে। তাদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।” একইসঙ্গে বিবৃতিতে এও বলা হয়, “সম্প্রতি বাংলাদেশের কুমিল্লায় কোনো দুষ্কৃতী পূজা মন্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরান রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কোনো সন্দেহ নেই শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্য দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। এই দুষ্কৃতীরা অনেক সময় উল্টোটাও করে। তাদের উদ্দেশ্য যেকোন প্রকারে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।কোরান অবমাননার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের খুজে বের করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার ধর্মোন্মাদ দাঙ্গাবাজদের দমন করতে যথা সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সে দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যে ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।”
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গা পূজা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় হিন্দু জনগোষ্ঠি। অন্যদিকে ভারতবর্ষে বিশাল সংখ্যক বাঙালি হিন্দু বসবাস করেন। উভয় পারে বাংলাভাষী কোনো এলাকায় হিন্দু অথবা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক কলহ হলে তার প্রভাব পড়ে উভয় সম্প্রদায় ও উভয় পারে।