HighlightNewsরাজ্য

‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আমার ছেলে, ক’জন পারে’, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারিতে গর্বিত মা-বাবা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আমার ছেলে, ক’জন পারে’। আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির পর এমনটাই বললেন ছেলের কাজে গর্বিত মা-বাবা। কৌস্তভের গ্রেফতারির পর বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়েছেন তাঁর মা-বাবা। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে কৌস্তভের মা শিউলি বাগচী বলেন, ‘যেভাবে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা খুব খারাপ লেগেছে’। যদিও ছেলের কাজে খুবই গর্বিত বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪এ এবং ১২০বি ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়।
রাতে বাড়িতে পুলিশি হানা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত কৌস্তভের পরিবার। এদিন মা শিউলি বাগচী বলেন, ‘যেভাবে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা খুব খারাপ লেগেছে। ওতো জঙ্গি নয়। বলেছিল সকালে একটা ফোন করতে, তা না করে রাতে নিয়ে গেল। এমনিতে আমি খুব গর্বিত অনুভব করছি আমার ছেলের জন্য। এতো বড় একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ও। আজকে ক’টা লোক পারে এমন কাজ করতে? বইটা ব্যানড হলে এত কথা আমাদের দিদিভাই কি বলতে পারতেন? তবে আমি গর্বিত, ছেলে দেশের জন্য কাজ করেছে। আমি নিজেও এই দলের সঙ্গে যুক্ত। ভাল কাজ করেছে সততার কাজ করেছে এটাই চাই।’
কৌস্তভের বাবা কুশল বাগচী বলেন, ‘অত রাতে কলিং বেলের আওয়াজ শুনে বুকটা কেঁপে উঠেছিল। বেরিয়ে দেখি পুলিশ গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। কথা বলতে শুরু করি আমিই। ছেলের কথার কোনও মান্যতাই দেয়নি। স্বৈরাচারী শাসকের স্বৈরাচারী মনোভাব। কোনও অ্যারেস্ট মেমো আনা হয়নি। কংগ্রেসকে ভালবাসে কৌস্তভ। বাবা হিসেবে আমিও গর্বিত।’

উল্লেখ্য, ধৃত কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলা জানা গিয়েছে। যদিও এদিন পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় কৌস্তভ বলেন,’ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। রাজনীতিক হিসেবে এটা আমার জিত।’ সূত্রের খবর, রাতে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাড়িতেই তুমুল কথা কাটাকাটি হয় কৌস্তভের। গতকাল প্রায় রাত আড়াইটে নাগাদ কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। এরপর পাঁচঘণ্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে কৌস্তভকে। সকালের দিকে পুলিশের নতুন টিম এসে গ্রেপ্তার করে কৌস্তভকে।

Related Articles

Back to top button
error: