টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। নাগাল্যান্ডে বর্বরোচিত ওই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও। একই দাবি তুলেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কর্নাড সাংমা।
মন জেলার ওটিং গ্রামে নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে সোমবার যোগ দেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে নেফিউ রিও জানান, ‘কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছি নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহোরের। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারবর্গকে কেন্দ্র দেবে ১১ লক্ষ টাকা আর রাজ্য দেবে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। ২ মুখ্যমন্ত্রীর আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে এনডিএ-র অন্দরে।
কী এই আফস্পা? আর্মড ফোর্সেস অ্যাক্ট (আফস্পা) ১৯৫৮ তে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় সেনাকে। সেই আইন মোতাবেক সেনা উপদ্রুত এলাকা বলে চিহ্নিত স্থানে সেনা মোতায়েন থাকবে। এমনকী দেশের অভ্যন্তরেও সরকারের অনুমতি ছাড়াই অভিযান চালাতে পারবে সেনা। সন্দেহের বসে সেনা কোনও জায়গায় অভিযান চালাতে পারবে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেও প্রাণে মারার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যক্তি নাশকতা চালাতে পারে, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারে সেনা। কাশ্মীর ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে সেনার হাতে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। যদিও কাশ্মীর থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে ব্রিটিশরা মূল অর্ডিন্যান্সটি জারি করে। দেশ স্বাধীন হলে সেই অর্ডিন্যান্স আইনে পরিণত হয়। মন জেলাতে বর্বরোচিত ওই ঘটনা সেনাকে দেওয়া ওই ক্ষমতার ভিত্তিতেই হয়।