গল্পের নাম:- “রিজু বাঁচতে চেয়েছিলো” গল্পকার:-মোস্তফা কামাল (পর্ব-২০)
(পর্ব-২০)
রিজু মাস্টার একবুক আশা নিয়ে বালিপাড়া হাই স্কুলে যোগদান করেন। স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নের স্কুলের। স্কুল তো নয়, একটি সুশোভিত ফুলের বাগানের। সেই বাগানের তিনি আদর্শ মালী হবেন। কিন্তু সেই বাগিচায় ফুলের মধ্যেই মালীদের একাংশের সযত্নে লালিত কীটের দংশনে তিনি যে একদিন বিদ্ধস্ত হবেন তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নি।
স্কুলে যোগদানের দুই একদিনের মধ্যেই এক শিক্ষকের সাথে তার প্রথম ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সুন্দর তার গড়ন। নামটাও সুন্দর। প্রদীপ বাবু। সতীর্থ হিসেবে স্কুল প্রাঙ্গণের এক প্রান্তে রিজু মাস্টারকে নিয়ে গিয়ে প্রথমেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন আরেক সতীর্থের ব্যাপারে। দূর থেকে দেখিয়ে বললেন,ঐ যে দেখছেন বেঁটে ধরনের দেখতে, সামনের দাঁত দুটো একটু উঁচু। কেমন যেন আদাড় বনের শিয়াল বাঘের মতো চলন বলন। উনি সালাম সেখ। উনার থেকে আপনি একটু সাবধানে থাকবেন।
একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর একজন শিক্ষকের এই ধরনের মন্তব্য রিজু মাস্টারের ভালো লাগেনা। তার মনে হয় প্রদীপ বাবু মানুষটির অন্তর স্বচ্ছ নয়। কথাগুলো পেশার সঙ্গে বেমানান। একমাত্র সুবিধাভোগীরা সতীর্থদের বিরুদ্ধে এমন ধরনের কথা বলতে পারেন। এরা প্রকৃত বন্ধু না হয়ে সুযোগ বুঝে সতীর্থকে ভুল পথে চালিত করেন।
সামনে জো হুজুর আর পেছনে সমালোচনা করা মানুষগুলোকে রিজু মাস্টার একদম পছন্দ করেন না। দীর্ঘ কুড়ি বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন এই লোকগুলো সুষ্ঠু পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন সময়ে গিরগিটির মতো নিজেদের রং পাল্টায়। আজ যিনি সালাম সাহেব সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলছেন কাল তিনিই রিজু মাস্টারের বিরুদ্ধে বলবেন এটা নিশ্চিত। এদের থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা যাবে ততটাই মঙ্গল।
যেহেতু রিজু মাস্টার সবুজ দলের শিক্ষক নেতা সেই হেতু লালপার্টির শিক্ষকরা প্রমাদ গুনে। তাদের বাড়া ভাতে হয়তো এবার ছাই পড়বে।
তিনি স্কুলে যোগদানের আগেই তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের নিয়ে একপ্রস্থ শলাপরামর্শ হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত, কোনমতেই রিজু মাস্টারকে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা সালাম সাহেবের। বাধ্য ছেলেদের মতো অন্য শিক্ষকরা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানান। না হলে যে তাদের কপালে আগুন লাগাতে সালাম সাহেবের একটুও বাধবেনা।
প্রদীপ বাবুর কথায়, এই সালাম সাহেব একটি অদ্ভুত চরিত্রের মানুষ। তার সমস্ত শরীররটাই প্রতিহিংসা আর নিষ্ঠুরতায় ভরপুর। স্বার্থ চরিতার্থ করতে তিনি এতটাই নীচে নামতে পারেন যা একজন বিকৃত মানুষের পক্ষেও সম্ভব নয়। মিথ্যা কথায় উনার জুড়ি নেই। কূকর্মের জন্য উনার বাবা নাকি উনাকে ত্যাজ্য পুত্র করেছিলেন। ঐ সময় পুত্রসম ভালবাসা দিয়ে যারা তাকে আগলে রেখেছিলেন শেষে তাদেরই চরমতম সর্বনাশ করেছেন। উনি বড়ো বিশ্বাসঘাতক। মৃত বাবাকে চিকিৎসার নামে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে দলিলে অঙ্গুলিছাপ নিয়ে শরিকদের অধিকার হননের চেষ্টা করেন। পরে ধরা পড়ে নাক কান খত দিয়ে কিছু অংশ ফেরতও দিয়েছেন। এলাকার মসজিদের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভোগদখলের চেষ্টা করার ফলে গনধোলাই খেয়েছেন। তার অত্যাচারে বাড়ির বড়ো বৌ এর কান্না প্রতিদিন পাড়াপড়শি শুনতে পায়। আগের পক্ষের শ্বশুর বাড়ির লোকের হাতে চড় থাপ্পড় খেয়ে পলায়ন থেকে পুলিশের লক আপে থাকার সব পালক রয়েছে তার মুকুটে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নির্লজ্জ,বেহায়া এই মহান পুরুষটি স্কুলের টিআইসি। প্রদীপ বাবুর মুখের এই কথা গুলো বিশ্বাস যোগ্য হয়নি রিজু মাস্টারের ।কারণ, একজন শিক্ষকেরও নীচে নামার একটা সীমা থাকে। সালাম সাহেব একজন শিক্ষক হয়ে তিনি নিশ্চয়ই এতটা ইতর প্রকৃতির হতে পারেন না। বিশ্বাস না করায় স্মিত হাস্যে তিনি বলেছিলেন, “কিছু দিন আপনি থাকুন তাহলেই সব বুঝতে পারবেন।”
সালাম সাহেব মানুষটিকে কিন্তু রিজু মাস্টারের ভালোই লাগে। খুব স্কুল দরদী। ছাত্র ছাত্রী প্রীতিও যথেষ্ট। তবুও কেন যে উনার বিরুদ্ধে সবাই আড়ালে কথা বলেন রিজু মাস্টার বুঝতে পারেন না। প্রতুল বাবু এবং অভিজিৎ বাবুও কথায় কথায় একদিন প্রদীপ বাবুর সুরেই কথা বললেন। কিন্তু রিজু মাস্টার ওদের কথাগুলোর সাথে সালাম সাহেবের আচরণে মিল খুঁজে পাননা! উনি রিজু মাস্টারকে সব সময় ‘স্যার’ সম্বোধন করেই কথা বলেন। এমন মানুষ কখনোই এতটা খারাপ হতে পারেন না। উনারা একটু বাড়াবাড়ি করছেন। হয়তো বা উনাদের কোনো রাগ রয়েছে। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে একদিন ওর আসল স্বরূপ নিশ্চয়ই বেরিয়ে পড়বে। অভিনয় করে কেউ কখনোই বেশি দিন চলতে পারেন না। ধরা ঠিক পড়বেনই। রিজু মাস্টারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। নিজের ক্লাসে ঢুকে যান।
গুড মর্ণিং স্যার! ছাত্ররা উঠে দাঁড়িয়ে রিজু মাস্টারকে সম্মান জানায়। তিনিও গুড মর্ণিং সম্বোধন করে ছাত্রদের বসতে বলেন। ছাত্ররা বসে পড়ে। নতুন স্যার! সবাই এর ওর মুখের দিকে তাকায়। তাদের কারও মনে আবার ভয়। না জানি কেমন হবেন তাদের নতুন স্যার।সবাই চুপচাপ। চোখ গোল গোল করে স্যারের দিকে তাকিয়ে থাকে।
—–কেমন আছো সবাই?
——-সমস্বরে, ভালো আছি স্যার। আপনি কেমন আছেন স্যার? স্যার,আপনার নাম কি?
——আমি খুব ভালো আছি।আর আমার নাম………..? না থাক, একটু পরেই বলবো। আগে তোমাদের নাম জেনে নিই কেমন?
একে একে সবাই নিজের নিজের নাম বলে বসে পড়ে। শেষের ছাত্রটি নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই চিৎকার করে বলে উঠলো, স্যার,ও খুব দুষ্টু । স্কুলে আসতে চায়না। সব সময় গাছে গাছে বেড়ায়। রোজ ওর বাবার হাতে মার খায়। স্যারদের কথা একদম শোনেনা।
——-ও….! তাই নাকি? তা বেশ তো! এই, তুই আমার কাছে আয়।
ছাত্রটি ভয়ে ভয়ে স্যারের কাছে আসে। স্যার ওর পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করেন। বলেন,”এমন ছেলেদেরই আমি বেশি পছন্দ করি রে।”
নতুন স্যারের মুখে এমন ধরনের কথা শুনে ছেলেরা তো অবাক! স্যার বলেন কী? ছেলেরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।
নতুন স্যার বললেন, তোমরা গল্প শুনতে ভালবাসো?
সমস্বরে বলে ওঠে, হ্যাঁ স্যার! একটা গল্প বলুন স্যার।
ঠিক আছে। গল্প শুনতে কে না ভালোবাসে তাইনা? আমিও ভালবাসি। তোমাদের কাছ থেকেও গল্প শুনবো কিন্তু। তবে আজ নয়। অন্যদিন।
ছাত্রদের কাছে নতুন স্যার প্রথম ক্লাসেই ছাত্রদের হৃদয় জিতে নিলেন। তিনি গল্প বলতে প্রস্তুত হলেন। তোমরা কিসের গল্প শুনবে?
——–ভূতের গল্প স্যার।
——-ঠিক আছে। আমি ভূতের গল্পও বলবো, আবার এক দুষ্টু ছেলের গল্পও বলবো।
——কী মজা! আগ্রহ ভরে সবাই চেঁচিয়ে উঠলো, বলুন স্যার! বলুন!
দুষ্টু ছাত্রটিকে পাশে নিয়ে স্যার গল্প শুরু করেন।
……..একটা তিন সাড়ে তিন বছরের শিশু যে কিনা প্যান্ট পরাই শেখেনি সে একদিন ন্যাংটা অবস্থায়
পাকা খেজুরের লোভে একটা বড় খেজুর গাছের মাথায় উঠে পড়ে। বুঝতেই পারছো, কী সাংঘাতিক ব্যাপার! ছেলেটির বাবা তখন কুয়ো থেকে জল তুলে স্নান করছিলেন।উনি দেখেন, সর্বনাশ! এক্ষুনি বড়ো একটা বিপদ ঘটে যাবে। কুয়ো থেকে জল তোলার জন্য ব্যবহৃত একটা বাঁশের লগা নিয়ে ছেলেটিকে তেড়ে ফুড়ে গেলেন। চেঁচিয়ে বললেন, নাম শয়তান! নাম বলছি! ছেলেটি বাবাকে ভয় না পেয়ে আরও উপরে উঠে গেল। নিচে তখন পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। কেউ রামের কেউ বা আল্লাহর নাম নিচ্ছে।সবার ধারণা এই ছেলে বাঁচতে পারেনা। এক্ষুনি গাছ থেকে পড়ে যাবে। বাঁচানোর জন্য নিচে কেউ আঁচল পাতে,কেউ বস্তা পেতে ধরে। ছেলেটির সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে আরও উপরে উঠে পাকা পাকা খেজুর খেয়ে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। সবার ধড়ে প্রাণ আসে।বাবা ছুটে গিয়ে বুকে চেপে ধরে সে কি কান্না। সদ্য মৃত্যুর ঘর থেকে ছেলে ফিরে এসেছে।
………..স্যার একটু থামলেন।
সমস্বরে,……… তারপর! তারপর স্যার!
———- তারপর……..! এই রকম দুষ্টুমি করতে করতে ছেলেটির বয়স পাঁচ কি ছয় হয়েছে। শুধু কাদামাটি মেখে খেলে বেড়ায়। ও কিছুতেই বই হাতে করবেনা। বাবা খুব মেরেছেন।ওর দুটো কাকাকেও বকেছেন। এই বয়সে পড়ার জন্য এতো শাসন ভালো লাগে না ওদের। মনের দুঃখে তারা তিনজনে প্ল্যান করে, এ জীবন আর রাখবেনা। মরে গিয়েই তারা প্রমাণ করবে তারা পড়তে চায়না। দুজন কাকা বয়সে দুই এক বছরের বড়ো। দুপুরে সবাই যখন ক্লান্তিতে ঘুমুচ্ছে তখন বাঞ্ছারাম কাকা গরুর গাড়িতে রাখা বড়ো একটা দড়ির বেড় কাঁধে করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চললো বাগানের দিকে। ওরা তিনজন একটা আম গাছের ডালে উঠে বসলো। দড়ির একদিকের অগ্রভাগ ডালের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে নিলো। আরেক দিকের অগ্রভাগে প্রথমে ছোট কাকা, তারপর বাঞ্ছারাম কাকা তার পর সব শেষ অংশে ছেলেটি গলায় ভালো করে জড়িয়ে বেঁধে নিলো। এবার ওরা মরবার জন্য রেডি। সবাই আল্লাহর নাম নিয়ে দিলো ঝাঁপ।দড়িটা এতটাই বড়ো ছিল যে সবাই মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়লো। বেঁচে গেলো সবাই। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বাড়ির সবাই আঁৎকে উঠলো। চোখে চোখে রাখতে লাগলো ওদের। এবার একটু থামলেন স্যার। সবাই অধীর আগ্রহে শুনছে গল্প। মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ে যাওয়ার কথা শুনে ছাত্ররা হেসে উঠলো।
———-তার পর স্যার কী হলো?
——–তারপর থেকে ওরা আর মরার চিন্তা করেনি। তখন চৈত্র মাস।গম কাটা মাড়া শুরু হয়েছে। মাঠে খলেনে (খামার বিশেষ) ঝাড়াই বাছাই করে ফসল ঘরে তোলার রেওয়াজ ছিল। গমের আঁটি পাহারা দেওয়ার জন্য রাতে খলেনেই থাকতে হতো। ওরা তিনজন খলেনে রাখা একটা গরুর গাড়ির তলায় বিছানা পেতে গল্পের আসর জমাতো। তার পর বেশি রাত হলে শুয়ে পড়তো। খুব মজা হতো।
সেদিন কেউ ডাকেনি ছেলেটিকে। এদিকে অনেক রাত হয়ে গেছে। তাহলে কি ঐ দুই কাকা ওকে না নিয়ে চলে গেছে? ওতো শুনবার পাত্র নয়। খুব রাগ হলো কাকাদের প্রতি।তারপর একটা ছোট্ট টর্চ লাইট নিয়ে একাকী বাগানের ভিতর দিয়ে মাঠের পথে রওনা দিলো। চাঁদনী রাত। গাছের তলা দিয়ে যেতে গা ছমছম করে ছেলেটির। ও হেঁটেই চলে।কোথা থেকে তার চারিপাশে ছোট বড়ো অনেক মাটির ঢিল এসে পড়ে।গাছ থেকে কি যেন ঝুর ঝুর করে শুকনো পাতার উপর পড়ে খসখস শব্দ হয়। ছেলেটি ভাবে কাকারা হয়তো তাকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে। তাকে ভয় দেখানো অতো সোজা নয়। ও ভূতের ভয় করে না।
…..একটু থামেন স্যার!
——তারপর স্যার! তারপর কী হলো?
——- তারপর! ছেলেটি মাঠের মধ্যে খলেনে গিয়ে দেখছে কেউ নেই।কাকারা আসেনি।গরুর গাড়ির তলায় বিছানা পাতা নেই। চারিদিকে চেয়ে দেখে ও একাকী মাঠের মধ্যে!ওর বুকের ভিতরে তখন কে যেন দুমাদুম ঢাকে কাঠির বাড়ি দিচ্ছে।ধড়াস ধড়াস করে বুক! ডান হাত দিয়ে বুক চেপে ধরে মনকে শক্ত করে। ঐ বাগানের তলাটা পার করতে পারলে আর ভয় নেই। কিন্তু তলাটা এবার পার হবে কী করে? মনে মনে আল্লাহকে ডাকে। বাগানের ভিতর দিয়ে আসার সময় আবার দুমদাম ঢিল পড়ে। কয়েকটি ঢিল গড়িয়ে ওর পায়ের কাছে চলে আসে। পাতায় কিছু পড়ার শব্দে ঝুরঝুর আওয়াজ হয়। নিঃশ্বাস বন্ধ করে এক দৌড়ে বাড়ি আসে। ছেলেটি সেদিন ভূতের ভয় পেয়েছিল বটে কিন্তু ভূত দেখতে পায়নি।
——–বলো কেমন লাগলো?
——–খুব ভালো লাগলো স্যার! কী সাহস ছেলেটির- একজন বলে উঠলো।
———-তোমরা ছেলেটিকে দেখতে চাও?
——-এটা কি সত্যি ঘটনা স্যার?এটা গল্প নয় স্যার?
——হ্যাঁ এটা একদম সত্যি। তোমরা যদি সেই দুষ্টু সাহসী ছেলেটাকে দেখতে চাও তাহলে দেখাতে পারি।
ছেলেরা তো অবাক! একসাথে সবাই বলে উঠলো, কোথায় আছে স্যার!
স্যার বললেন, তোমাদের সামনেই সেই ছেলেটি আছে যে আজকের রিজু মাস্টার মশাই। তোমাদের নতুন মাস্টার মশাই।
ছাত্রদের মুখে আর কোনো কথা নেই। ওরা অবাক! বিস্ময়ে রিজু মাস্টারের দিকে তাকিয়ে থাকলো! স্যার বললেন, এই যাকে তোমরা দুষ্টু ছেলে বলছিলে তাদের কেন আমি ভালবাসি বুঝতে পারলে তো? আজ থেকে সব দুষ্টু ছেলেরা আমার বন্ধু। তোমরাও আমার ভালো বন্ধু,কেমন?সবাই ঘাড় নাড়িয়ে দেয়। ঘন্টার আওয়াজ শোনা যায়। পিরিয়ড শেষ।স্যার বললেন আজ থাক। পরে আবার তোমাদের সঙ্গে কথা হবে। রিজু মাস্টার ক্লাস থেকে বেরিয়ে যান। ছাত্ররা উঠে দাঁড়ায়।