HighlightNewsদেশ

দিল্লিতে বরাদ্দের থেকেও কম পরিমাণে অক্সিজেন কেন? হাইকোর্টের প্রশ্নের সম্মুখীন কেন্দ্র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গোটা দেশে যখন অক্সিজেনের হাহাকার তখন মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে অথচ দিল্লিতে হাহাকার সত্বেও বরাদ্দের পরিমাণের থেকেও কম পরিমাণে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে দিল্লির জন্য ৪৮০ টন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হলেও কেন ৩৪০-৩৭০ টন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদি সরকার। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি ও বিচারপতি রেখা পাল্লির যুগ্ম বেঞ্চের মন্তব্য, অন্য রাজ্যকে বঞ্চিত করে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না, কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র কিভাবে চাহিদার তুলনায় বেশি অক্সিজেন পাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন্দ্রকে।

দিল্লিতে দুটি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির বেশিরভাগ হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট চরমে। একবার সিলিন্ডার খালি হলে সেই সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরে আনতে লম্বা লাইনে দাড়াতে হচ্ছে কোভিদ রোগীর পরিবারের সদস্যদের।কোথাও কোথাও রোগীকে নিজের অক্সিজেন নিজেই নিয়ে আসতে হচ্ছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন কোভিড রোগীদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে আগের তুলনায় চাহিদা বেড়ে ৭০০ টনে পৌঁছবে। তবে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার দাবি, দিল্লির জন্য ৩৪০-৩৭০ টন অক্সিজেনই যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে শুনানি চলাকালে নেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা কেন্দ্রের আধিকারিকদের বলেন, মধ্যপ্রদেশের বরাদ্দ কমিয়ে দিল্লির জন্য অক্সিজেন বরাদ্দ করতে। আর তাতে যদি মধ্যপ্রদেশে কোনো কোভিদ আক্রান্তের প্রাণসংশয় হয়, তাহলে হোক।

সলিসিটর জেনারেল দূষণের কারণ ও মন্তব্যের পর তাকে সতর্ক করে হাইকোর্টের যুগ্ম বেঞ্চ বলেছে, অন্য রাজ্যকে বঞ্চিত করে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, বিষয়টিকে এভাবে যেন দেখানো না হয়। এর পাল্টা তুষার মেহেতা বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে আতঙ্ক না ছড়ানোর আর্জি জানান। এর জবাবে বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি ও বিচারপতি রেখা পাল্লির যুগ্ম বেঞ্চ জানায়,”আদালতে কী বলা হচ্ছে, তার উপরে আতঙ্ক তৈরি হবে না। বাস্তবের পরিস্থিতির ভিত্তিতেই আতঙ্ক ছড়াবে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের জীবন খোয়া গিয়েছে। কেন্দ্রকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই হবে। কেন্দ্রেরই দায়িত্ব সমাধান করার।”

 

 

 

Related Articles

Back to top button
error: