দেশ

২১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে স্কুল, জারি এসওপি; নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে স্কুলে যেতে পারবেন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মঙ্গলবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আংশিকভাবে পড়াশোনা শুরু করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বা, এসওপি প্রকাশ করেছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ওই শ্রেণিগুলির ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয়ে যাবে। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলি তাদের পড়াশোনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন।বিভিন্ন সময়ের স্লটে ভাগ করে ক্লাস নিতে হবে। এর পাশাপাশি করোনার লক্ষণযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্কুলের ভেতর প্রবেশ দেওয়া যাবেনা। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের স্টাফেদের ৬ ফুটের দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। লাগাতার হাত ধুতে হবে, মাস্ট পড়তে হবে, হাঁচি এলে মুখে হাত দিয়ে ঢাকতে হবে, নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে হবে এবং থুথু ফেলার মত বিষয়গুলির প্রতি নজর রাখতে হবে।

স্কুলে আসতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অভিভাবিকাদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। ছাত্র ছাত্রীরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা লকার ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। জিমের ব্যবহার গাইডলাইন মেনে করতে হবে। সুইমিং পুল এবং স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি করা যাবে না। ছাত্র-ছাত্রীরা, বইপত্র, পেন্সিল, রাবার ইত্যাদি একে অপরের সাথে ভাগ করে নিতে পারবেন না। প্র্যাকটিক্যাল করার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা আলাদা আলাদা সেশানে অংশগ্রহণ করবেন। একসঙ্গে অনেক ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ল্যাবরেটরিতে যাওয়া যাবেনা।

এর পাশাপাশি স্কুলগুলি কেউ মেনে চলতে হবে আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম। যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস বেশ কয়েকটি স্লটে ভাগ করে নিতে হবে। ক্লাস রুম এর পরিবর্তে খোলা জায়গাতেও ক্লাস করানো যেতে পারে। অনলাইন এবং ডিস্টেন্স লার্নিং এর ব্যবস্থাও করতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে স্কুল খোলার আগে স্কুলের সম্পূর্ণ পরিসর, ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরী ভালো করে স্যানিটাইজ করতে হবে। শুধু তাই নয় এর সাথেই প্রতিটি স্কুলের ৫০% শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের কর্মচারীদের অনলাইন টিচিং এবং টেলি কাউন্সেলিং এর জন্য স্কুলে ডাকা হতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্সের জায়গায় কন্টাক্টলেস অ্যাটেনডেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। লাইন করানোর জন্য স্কুলে ছয় ফুটের দূরত্ব মেনে সার্কেল তৈরি করতে হবে। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র স্কুলের বাইরে নয় স্কুলের ভেতরেও করতে হবে।

প্রতিদিন স্কুলে অবশ্যম্ভাবীভাবে পাল্স অক্সিমিটার রাখতে হবে। সাফাই কর্মচারীদের থার্মাল গান, ডিসপোজেবল পেপার টাওয়েল, সাবান, ১% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড সলিউশন দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কর্মচারীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়ার দায়িত্ব স্কুলের ওপর বর্তাবে। স্কুল কম্পাউন্ডে ভেতর ঢাকা দেওয়া ডাস্টবিন থাকতে হবে।

তবে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারীরা কোয়ারেন্টাইন জোনের মধ্যে বসবাস করছেন তারা স্কুলে আসতে পারবেন না।এছাড়া যাদের মধ্যে করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদেরও স্কুলে আসতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষক শিক্ষিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন তাহলে তাকে স্কুলে ডাকা যাবে না।

Related Articles

Back to top button
error: