টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম নন। ভূত বিধি লঙ্ঘনের দায়ে এর আগে অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, মায়াবতী সহ একাধিক নেতার ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। মূলত ধর্মীয় ভাবাবেগে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে আরো এক মুখ্যমন্ত্রীর ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। তিনি হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথ।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভা ভোটের প্রচারে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ টেনে ‘আলী বনাম বজরংবলী’ সংক্রান্ত বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য ৭২ ঘন্টার জন্য তার প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
তবে, শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথ নন, লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর ভোট প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন।৪৮ ঘন্টার জন্য মায়াবতীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সমাজবাদী পার্টি ও বহু জন সমাজ পার্টির যৌথ প্রচার মঞ্চ থেকে উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘুদের কাছে ভোট ভাগনা করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন,”সংখ্যালঘুদের কাছে আবেদন জানাব, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নষ্ট করবেন না।”
২০১৯ লোকসভা ভোটের সময় আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যোগী আদিত্যনাথ মায়াবতী ছাড়াও কংগ্রেসের নভজোৎ সিংহ সিধু, সমাজবাদী পার্টির আজম খান এবং বিজেপি-র মেনকা গাঁধীর ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ২০১৯-এর আগের লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৪-র সময় তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। মুজাফফরনগরে একটি গোষ্ঠী হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অমিত শাহ একটি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক’ হিসেবে চিহ্নিত করা পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের বার্তা দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সে বছর তার ভোট প্রচারের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
তবে, শুধুমাত্র অতীতের লোকসভা নির্বাচনে নয় এ বছর ২০২১ সালে রাজ্যগুলিতে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ও একাধিক নেতা মন্ত্রীদের ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। অসমের বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেও প্ররোচনামূলক মন্তব্যের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে কমিশন। ৪৮ঘন্টার জন্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ রাজার বিরুদ্ধেও চলতি মাসেই ৪৮ ঘণ্টার জন্য ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন।