টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের নয়াকৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর তিনটে অবধি বন্ধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।কৃষকদের এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ১৬ টি রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডিএমকে, বাম দলগুলো ছাড়াও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে শিবসেনা এবং আম আদমি পার্টিও। বনধের আগেই দিল্লির রাস্তায় নেমে কৃষকদের সমর্থন জানানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। অপরদিকে বনধকে সমর্থন না করলেও কৃষক আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে আজ ব্লকে ব্লকে ধরনা কর্মসূচি তৃণমূলের।
দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানাতে ইতিমধ্যেই জয়পুর থেকে দিল্লী পর্যন্ত পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন রাজস্থানের কৃষকদের একাংশ। ব্যাঙ্গালোরেও কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ভারত বন্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে ওড়িশার ভুবনেশ্বর রেলস্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেছে বামদলগুলি, শ্রমিক সংগঠন ও কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। অন্যদিকে, ধর্মঘটের সমর্থনে আজ দিল্লিতে ওলা-উবেরের ট্যাক্সি চলবে না। সর্বোদয় ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে।
অপরদিকে, কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের যত্রতত্র মিছিল-পিকেটিং রেল অবরোধের ঘটনা দেখতে পাওয়া গেছে আজ সকাল থেকে। ভারত বনধ এর সমর্থনে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সকালেই যাদবপুরের এইটবি বাস স্ট্যান্ডের কাছে জমায়েত করেন বামপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। শুধু তাই নয় সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ধর্মতলার মিছিল করেন বাম ছাত্র যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরা।
পাশাপাশি যাদবপুর স্টেশনের রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। পিকেটিংও করা হয় যাদবপুরে। হাওড়া ডোমজুড় স্টেশনের রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। আধঘন্টা ধরে অবরোধের পর বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। মধ্যমগ্রাম স্টেশনের রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। আটকে পড়ে আপ এবং ডাউন ট্রেন গুলি। অবরোধের জেরে শিয়ালদা বনগাঁ শিয়ালদা হাসনাবাদ লাইনের ট্রেন চলাচল আটকে পড়ে। যার ফলে অসুবিধায় পড়ে নিত্যদিনের অফিস যাত্রীরা। মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ের যশোর রোডে অবরোধ বিক্ষোভ চালান বাম কর্মীরা। তবে মিনিট দশেকের প্রতিটি বিক্ষোভ দেখানোর পর সেখান থেকে সরে যান তাঁরা। এরপর মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। লেকটাউনেও যশোর রোড অবরোধ করেন বাম কর্মীরা।