আরিয়ান কাণ্ডে বিজেপির নিশানায় নবাব মালিক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : মুম্বইয়ের মাদক মামলায় ফের নয়া মোড়। এবার কাঠগড়ায় এনসিপি। এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে নন, আরিয়ান খান মামলার মাস্টারমাইন্ড এনসিপি নেতা। তাঁর নাম সুনীল পাতিল। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে গোটা বিষয়টি সাজিয়েছে এনসিপি। সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ। তাঁর আরও দাবি, শাহরুখ খানের থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতানোর জন্যই আরিয়ানকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। সেই প্লান ভেস্তে যাওয়ার জন্যই এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নবাব মালিক একের পর এক অভিযোগ আনছেন।

মোহিত কম্বোজের প্রশ্ন, “মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীরা কি মাদক মাফিয়াদের পক্ষ নিচ্ছেন? নাকি কোনও তদন্তকারী অফিসারকে নিশানা করছেন? এনসিপিকে সেটা পরিষ্কার করতে হবে।” পাল্টা এনসিপি নেতা মালিক বলেন, “এইসব ওয়াংখেড়ের প্রাইভেট আর্মির কারবার। নিজের লোককে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে আসলে মূল বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে। যদিও তাতে তারা সফল হয়নি। আসল সত্যিটা রবিবার সবার সামনে নিয়ে আসব।”

শুধু মালিক নয়। কম্বোজের নিশানায় ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি বলেন মাদক মামলায় একের পর এক ভুয়ো গল্প ফেঁদে এনসিপি নেতারা কি মাদক মাফিয়াদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন? দেশমুখের নাম না করেই বিজেপি নেতার দাবি, ডি কোম্পানির ঘনিষ্ঠ এক মাদক মাফিয়ার সঙ্গে দেখা দিয়েছিল তাঁকে। শুধু সুনীল নয়। আরিয়ান কাণ্ডে ঘুষের লেনদেনে নাম জড়ানো কিরণ গোসাভিও মালিকের লোক বলে দাবি করেন কম্বোজ।

কম্বোজ যে সুনীল পাতিলের কথা বলছেন তিনি কে? গত কুড়ি বছর ধরে এনসিপি নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে এই সুনীলের। প্রাক্তন মন্ত্রী দেশমুখের ছেলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সরকারি দফতরে কোথায় কাকে বদলি করা হবে সেই চক্র চালাতেন সুনীল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কম্বোজ। এদিকে আরিয়ান মামলার প্রধান তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিং। তবে সমীর ওয়াংখেড়েও এই মামলায় সাহায্য করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সঞ্জয় সিং-এর নেতৃত্বে মামলার তদন্ত চলবে।