টিডিএন বাংলা ডেস্ক : চলে গিয়েছে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে নেই বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা। অগত্যা মোবাইলের ফ্ল্যাশ ও টর্চের আলোয় প্রসব করাচ্ছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার বাবুরা। আর এভাবেই পরিকাঠামোর অভাবে টর্চের আলোতেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা! এমন ছবি যে কারও আঁতকে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট। আর সেই ছবি ক্যামেরা বন্দি করেন কোনো একজন। এবার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন ও সরকার। জানা গিয়েছে, এই ছবিটি ওডিশার গঞ্জাম জেলার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এলাকার মানুষদের অভিযোগ, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেনারেটর, কিংবা ইনভার্টার কোনো বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ওই মহিলার প্রসব করাতে বাধ্য হয়েছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন তাঁর নাম তপস্বিনী সাহু। তিনি ওডিশার গঞ্জাম জেলার কালাম্বো গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর সন্ধে সাতটা নাগাদ তপস্বিনীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, যখন তিনি সন্তান প্রসব করছেন তখনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোডশেডিং হয়ে যায়। অথচ প্রসব করাতে দেরি হলে, ওই প্রসূতি ও তাঁর গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশংকা ছিল। তাই বাধ্য হয়েই কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন যে কোনো মূল্যে ওই মহিলার প্রসব করানো হবে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডা. প্রজ্ঞান প্রথমা জানিয়েছেন, “সেই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিন্তু, প্রসব স্থগিত করার উপায় ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই আমাকে টর্চের আলোয় প্রসব করাতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেনারেটর বা ইনভার্টার নেই। অগত্যা, আমার আর কিছু করারই ছিল না।”