টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সোমবার সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনই শাস্তির মুখে পড়েন ১২জন সাংসদ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাদল অধিবেশনে অভব্য আচরণ করার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী, রয়েছেন শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী, সিপিএমের এলামারাম করিম, কংগ্রেসের ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুন বোরা, রাজামনি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং, সিপিআইয়ের বিনম বিশ্বম। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিরোধীরা সরব হন। যদিও তারপরও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরলেন না রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
বেঙ্কাইয়া এদিন বলেন, সাসপেন্ড হওয়ার পরও সাংসদদের কোনও অনুশোচনা নেই। তাই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ”যে সব সদস্য রাজ্যসভাকে অপবিত্র করেছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অনুতাপ নেই। তাই সাজা প্রত্যাহার করার যে আর্জি বিরোধীরা জানিয়েছেন তা মেনে নেওয়া যাবে না। রাজ্যসভার সব নিয়ম মেনেই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
এদিন কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ”ঘটনাটি ঘটেছিল বাদল অধিবেশনে। সেই ঘটনার রেশ তুলে কীভাবে শীতকালীন অধিবেশনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়?” পাশাপাশি খাড়গে এই সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্কাইয়া বলেন, সাসপেন্ডেড সাংসদরা কেউই অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। তাই তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না।” রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই যুক্তি মানতে চাননি বিরোধীরা। প্রতিবাদে এদিন তাঁরা একযোগে রাজ্যসভা থেকে ওয়াটআউট করেন।
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের সময় পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সোমবারের অধিবেশনের শুরুতেই ১২জন সাংসদের শাস্তির দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেই দাবি মেনেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। অর্থাৎ শীতকালীন অধিবেশনে কোনও বিতর্কে যোগ দিতে পারবেন না এইসব সাংসদরা।