টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা অতিমারিতে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনের লক্ষে দেশের রাজধানী দিল্লিতে এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন না করলেও ক্রমশ বিধি-নিষেধ কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি যেন তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দেয়। নতুন করোনা বিধির অধীনে এ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)।
এর আগে কোভিড আতঙ্কের কারণে রাজধানীতে হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালা বন্ধ করা হয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার অনুমতি ছিল। কিন্তু এবার রাজধানী দিল্লিতে সমস্ত বেসরকারি কার্যালয় বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হল। তবে কর্মীরা বাড়িতে বসেই সারবেন অফিসের কাজ। কিন্তু দিল্লিতে মহামারির প্রভাব ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শতভাগ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে (যেমন, বেসরকারি ব্যাংক, জরুরি পরিষেবা প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, ফার্মা কোম্পানি, ক্ষুদ্রঋণ কোম্পানি, আইনজীবীদের অফিস এবং কুরিয়ার পরিষেবা) অবশ্য ছাড় দিয়েছে ‘দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ)’।
অন্যদিকে তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের নির্দেশ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ কর্মী অফিস করবে এবং বাকিরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করবে।
এ প্রসঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘আগামী দু-একদিনের মধ্যেই শহরে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছবে। এমনও হতে পারে, আমরা বর্তমানে সংক্রমণের চূড়াতেই অবস্থান করছি। তার পর থেকে ক্রমশ নামবে সংক্রমণ।’’