টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কোভিডের কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু নিয়ম মেনে ১৪ দিন আইসোলেশন। এরজেরে বাড়ছে সমস্যা। সূত্রের খবর, হোম আইসোলেশনের মেয়াদ কমে ৫ থেকে ৭ দিন করা হতে পারে। এমনই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও।
সাধারণ মানুষ তো বটেই। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। তাদের সিংহভাগ উপসর্গহীন। ন্যূনতম উপসর্গ ছাড়া দু সপ্তাহ ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের। এরজেরে প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবায়। চিকিৎসা কর্মীরা যাতে সপ্তাহখানেকের মাথায় নেগেটিভ হয়ে কাজে যোগ দিতে পারেন সেই লক্ষ্যে আইসোলেশনের মেয়াদ কাটছাঁট করে ৫-৭ দিন করা হতে পারে। এই বিষয়ে মৌখিকভাবে নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীদের পঞ্চমদিনে আরটিপিসিআর টেস্ট করে দেখার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি কাজে যোগ দিতে পারেন। এমনই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।
এই সিদ্ধান্তের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী? সিডিসি একটি নির্দেশিকায় জানায়, প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আর টানা নয়দিন ভাইরাস সক্রিয়ভাবে বংশ বিস্তার করছে না। শরীরের ভিতরে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির মেয়াদ কমে হয় তিন চারদিন। তাই অসুখের স্থায়িত্ব কমেছে। সংক্রমণ ছড়ানোর সংখ্যা কমেছে। সেই কারণে ৫ থেকে ৭ দিন আইসোলেশন যথেষ্ট।