ত্বকের সঙ্গে স্পর্শ না হলে যৌন নিগ্রহ নয়! হাইকোর্টের রায় খারিজ শীর্ষ আদালতে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়ে না। সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। যার জন্য তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, শুধু ত্বকে-ত্বকে সংস্পর্শই যে পকসো আইনে ফেলা যাবে এমনটা নয়। শরীর স্পর্শ না করলেও, তা পকসো আইনের আওতায় পড়বে। স্পষ্ট জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানায়, ”স্পর্শ ও ত্বকের ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ ইত্যাদি বলে ছোট করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনের কার্যকারিতাকে। ধ্বংস করা হচ্ছে পকসো আইনকে, যা তৈরি করা হয়েছে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য। যৌন নিগ্রহের উদ্দেশ্য ছিল কীনা, সেটাই আসল বিষয়। জামাকাপড়ের ওপর দিয়েও অন্যায়ভাবে খারাপ উদ্দেশ্যে শিশুর শরীর স্পর্শ কিংবা গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলেও তা পকসো ধারায় অন্যায় বলে বিবেচিত হবে।” এদিনের সুপ্রিমকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়।

সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের মহিলা বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা রায়ে বলেছিলেন, স্কিন টু স্কিন কনট্যাক্ট না হলে সেটা যৌন নির্যাতন নয়। এমন ঘটনা পকসো আইনের আওতাতেও পড়বে না। অন্য একটি মামলার রায়ে বিচারপতি বলেছিলেন, নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের চেইন খোলা পকসো আইনে নির্যাতন নয়। বম্বে হাইকোর্টের সেই রায়কে তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিমকোর্ট। আদালত এদিন বলে, যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যে পোশাক বা অন্য কিছুর ওপর দিয়ে শরীর স্পর্শ করলে তা পকসো আইনের আওতাধীন হবে। বম্বে হাইকোর্ট এই ধরণের অস্পষ্ট মন্তব্য করতে পারে না। বম্বে হাইকোর্টের ওই রায়ে আসলে আইনের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা হয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি এক নাবালিকার যৌন হেনস্থা মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা।