চিকিৎসকে নয়, তান্ত্রিকে ভরসা, পরিনাম ভয়ঙ্কর!
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সাত মাসের দুধের শিশু। জ্বর কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। চিকিৎসক নয়। বরং স্থানীয় তান্ত্রিকের কাছে ছুটে যায় অসুস্থ শিশুর পরিবার। টোটকা হিসেবে ওই তান্ত্রিক দিলেন গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দেন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে আরও বিগড়ে যায় শিশুরটি অবস্থা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তান্ত্রিকের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে।
নামেই আধুনিকতা! অথচ এখনও মানুষ পড়ে আছে ঝাড়ফুক, তুকতাক, তান্ত্রিক এসবের ভরসায়। আদতে মধ্যপ্রদেশের নিমাচ এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ভিল। কর্মসূত্রে পরিবার সহ থাকেন রাজস্থানে। শম্ভু এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাদেরই সাত মাসের সন্তানের দেহে ধুমজ্বর। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। কিন্তু স্থানীয়রা পরামর্শ দেন, তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়ার। সেই মতো চিকিৎসায় ভরসা ছেড়ে চলে যান তান্ত্রিকের কাছে। সেখানে যেতেই ওই বিপত্তি। তান্ত্রিকের কার্যকলাপ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রায় একই ঘটনার সাক্ষী রইল বিজেপি শাসিত গুজরাতের দ্বারকা জেলা। স্বামীর সঙ্গে ওখামাধিতে নবরাত্রির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়ায় কাঁপতে থাকেন রামিলা সোলাঙ্কি। ব্যস, তাতেই সকলের ধারণা হয়, দেবী রুষ্ট হওয়াতেই এমনটা হচ্ছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তান্ত্রিকের কাছে। অভিযোগ, সেখানে ওই তান্ত্রিক গরম লোহার চেন দিয়ে ২৫ বছরের এক তরুণীকে মারধর করে। যার জেরে মৃত্যু হয় তরুণীর।