টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই বৈঠকে ভাঙড় কেন্দ্রের বিধায়ক মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। একজন বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ নওশাদ সিদ্দিকী। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, নওশাদ সিদ্দিকী তৃণমূল নয় বরং আইএসএফ এর বিধায়ক হওয়াতেই এই বঞ্চনা। বিবৃতিতে বলা হয়, “ঐ জেলার ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধি মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁকে ঐ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত থেকে বিধায়ক ভাঙড় কেন্দ্রের বিভিন্ন অভাব, অভিযোগ তুলে ধরতে পারতেন। এলাকার নানান বিষয় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারতেন, তাঁর পরামর্শ নিতে পারতেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী যখন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া আধিকারিকদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে মিটিং করে তখন এই মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস স্বেচ্ছাচারিতা স্বৈরাচারিতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শোনা যায়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভাঙ্গড়ের বিধায়ককে প্রশাসনিক বৈঠকের না ডেকে কি তাহলে স্বেচ্ছাচারিতা করেননি? আমরা এর আগেও বলেছি, আবারও বলতে হচ্ছে, এই রাজ্যে স্বৈরতন্ত্রের শাসন ক্রমশ শক্ত হচ্ছে। গণতন্ত্রের ভিত আলগা হচ্ছে। চমক আর ধমক দিয়ে আগেকার দিনে রাজা-রানী জমিদারদের মতন আচরণ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চলছে। বিরোধীদলের বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করলো।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সব প্রশাসনিক বৈঠক প্রসঙ্গে আইএসএফ এর অভিযোগ, “এতে উন্নয়নের কাজ তরান্বিত হলে, সেটা সবদিক দিয়েই ভালো। প্রশাসনিক ও পুলিশের আধিকারিকবৃন্দ সহ বিধায়ক, সাংসদরা এই কর্মসূচীতে অংশ নেন। কিন্তু ক্রমশ এই বৈঠকগুলি দলীয় বৈঠকে পরিনত হচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম মারফত সম্প্রচারগুলির দিকে চোখ রাখলে এটা মালুম হয়।”
উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে নিজে উপস্থিতিত থেকে রাজ্যের জেলায়, জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। উন্নয়ন কে তরান্বিত করাই এই প্রশাসনিক বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে।