রাজভবনে স্বজনপোষণ! রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ সম্বোধন করে অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের, পাল্টা রাজ্যপালের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বনাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের টুইট-যুদ্ধ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছেন মহুয়া। তৃণমূল সাংসদের সেই বিস্ফোরক অভিযোগের পালটা এবার টুইটারে সোচ্চার হলেন রাজ্যপাল। টুইটারে মহুয়া ভুল তথ্য পেশ করেছেন বলে মুখ খুললেন ধনখড়।

মহুয়া মৈত্র টুইটে এই নামগুলি প্রকাশ করে রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ সম্বোধন করে সরাসরি প্রশ্ন করেন, কেন আপনার বর্ধিত পরিবারকে রাজভবনে জায়গা দিয়েছেন? তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনেন মহুয়া।

অপর দিকে টুইটারে মহুয়া মৈত্রকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, যে ছয়জন ওডি(অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) পদাধিকারীর কথা উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, তাঁরা ধনখড়ের আত্মীয়, এটা তথ্যগতভাবে ভুল। এরপরই ধনখড় লিখেছেন, ‘ওএসডি-রা তিন রাজ্যের। তাঁরা ভিন্ন জাতের। কেউই আমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ নন। তাঁদের মধ্যে চারজন আমার রাজ্য বা জাতেরও নন’।

মহুয়ার পোস্ট করা এই তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যপালের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) পদে রয়েছেন অভ্যুদয় সিং শেখাওয়াত। যিনি রাজ্যপালের জামাইবাবুর ছেলে। আবার ওএসডি কো–অর্ডিনেশন পদে রয়েছেন অখিল চৌধুরী। যিনি রাজ্যপালের পরিবার ঘনিষ্ঠ। আবার ওএসডি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদের দায়িত্বে থাকা রুচি দুবে রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের স্ত্রী। এমনকী ওএসডি প্রোটোকলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত দীক্ষিত মেজর গৌরাঙ্গের ভাই।

এদিকে আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে ডেকে পাঠান। পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণ করেন। আগামিকালই মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান রাজভবনে। তার মধ্যেই সামনে এল এই টুইট বিতর্ক।