টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বছরের শুরুতেই মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার আরো এক মহিলার ওপর ভয়াবহ নৃশংসতার নজির। উত্তরপ্রদেশের পর এবার গণধর্ষণের শিকার মধ্যপ্রদেশের সীধী জেলার এক ৪৫ বর্ষীয়া বিধবা মহিলা। ওই মহিলার ওপর নৃশংস যৌন অত্যাচার করে ৪ দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,শনিবার রাতে সীধী জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্তের স্বামী চার বছর আগে মারা গেছেন এবং জীবিকার তাগিদে তিনি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে একটি ছোট দোকান চালান। তিনি সেখানে তার ছোট বোন এবং দুই সন্তানের সাথে থাকেন। শনিবার রাতে নির্যাতিতা যখন দোকান বন্ধ করে শুতে চলে যান সে সময় রাত দশটা নাগাদ ওই চার দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তার কাছে জল চান। নির্যাতিতা তা দিতে অস্বীকার করায় ওই চার দুষ্কৃতী কুড়ে ঘরের মধ্যে জোর জবরদস্তি ঢুকে পড়ে এবং তাঁকে গণধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে আহত করে ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর অত্যধিক রক্তপাতের কারণে নির্যাতিত মহিলা অজ্ঞান হয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে ঘটনার সময় নির্যাতিতার ৪০ বর্ষীয়া ছোট বোন এবং তাঁর ১৬ বছর ও ১৮ বছর বড়শি ও দুই ছেলে ঘরেই ছিল। কিন্তু তাদের ওই কুড়ে ঘরটি গ্রাম থেকে দূরে একটি শুনশান জায়গায় থাকার কারণে তারা নির্যাতিতা মহিলাকে বাঁচানোর জন্য লোকেদের ডেকে আনতে পারেননি। এই ঘটনার পর মহিলাকে গ্রাম থেকে একটি অটো রিক্সা ডেকে এনে সোজাসুজি স্থানীয় থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখান থেকেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার জাতীয় ওই ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা ৩৭৬ সহ আরো বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, সীধীর এই ঘটনায় কোনো অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হবে না, অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অপরদিকে, সীধীর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লিখেছেন,”আরো এক নির্ভায়া! কতদিন সহ্য করবেন মহিলাদের ওপর অত্যাচার?”
एक और निर्भया!
कब तक सहेंगे नारी पर वार? pic.twitter.com/3vGms3Ggtl
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 11, 2021