টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গত দু’-তিন দিনে বিহারের পশ্চিম চম্পারণে বিষ মদ খেয়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ‘ড্রাই স্টেট’ বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত এই ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোট সরকার। যদিও মৃতদের মধ্যে আট জনের পরিবার দাবি করেছে, মদই খাননি মৃতরা।
চম্পারণের জেলা প্রশাসক কুন্দন কুমার জানিয়েছেন, মৃতরা মূলত দেউরাওয়া, জোগিয়া ও বাগাহি নামের তিনটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। জেলাশাসক আরও বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি গত দু’-তিন দিনে প্রায় আট জন রহস্যজনক ভাবে মারা গিয়েছেন। যদিও তাঁদের পরিবার ও গ্রামবাসীরা মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও মৃতদের শেষকৃত্য হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাচ্ছে না। আমরা মেডিক্যাল দল নিয়োগ করেছি। আর কারও শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’
ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল লালন মোহন প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা প্রায় ৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছি। তাঁদের মধ্যে মৃতদের পরিবারের লোকও রয়েছেন। মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সবাই। যদিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি মদ খেয়েছিলেন।’’
এই ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আরজেডি প্রধান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘নেশামুক্তি’র নামে মদের অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বিহারে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার বেআইনি মদের সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে বলেও দাবি করেন লালু।
অন্যদিকে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী জানান, স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে সরকার।
২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে এর ফলে বেআইনি মদের ব্যবসায় রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। গত মার্চ মাসেও বিহারে বিষমদ খেয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।