HighlightNewsআন্তর্জাতিকদেশ

ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুমিকার সমালোচনায় বিরোধীরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের ভুমিকার কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ কেন্দ্রের মোদী সরকার যেভাবে প্রচারে জোর দিচ্ছে সেভাবে উদ্ধারকার্যে জোর দিচ্ছে না। একইসঙ্গে বিরোধীরা মোদি সরকারের ঢিলেমি এবং প্রধানমন্ত্রীর উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী বলে দাবি করছেন।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে প্রায় বিপর্যস্ত-বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। কিন্তু এখনও সেখানে আটকে আছেন হাজার হাজার ভারতীয় বিশেষত শিক্ষার্থীরা। অনেকেই আটকে খারকভ, খেরাসন, কিয়েভের মতো বিপদসংকুল এলাকায়। মঙ্গলবার সকালেই রুশ গোলায় প্রাণ গিয়েছে এক ভারতীয় পড়ুয়ার। ফলে প্রশ্ন উঠছে এখনও পর্যন্ত কেন ইউক্রেনে আটকে থাকা সব ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফেরানো সম্ভব হলনা? সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের মোট সংখ্যা ১৮ হাজারের কাছাকাছি। এত অল্প সংখ্যক মানুষকে দেশে ফেরাতে এত সময় কেন লাগছে সেই প্রশ্ন উঠছে। অথচ ইতিপূর্বে ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভারতীয়কে মাত্র ৬৩ দিনে দেশে ফিরিয়েছিল তৎকালীন ভারত সরকার। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এয়ার ইন্ডিয়ার সেই অপারেশন নাম তুলেছে গিনেস বুকে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, ‘ইউক্রেনে আটকে মাত্র ১৮ হাজার ভারতীয়। ভারত আগে যা যা করেছে তার তুলনায় এই সংখ্যাটা সামান্যই।” তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের ভোটের জন্য সরকার যেভাবে ভুয়ো প্রচার করছে, সেটা চরম দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারে গিয়ে বলছেন, সেটা ভালো কথা। কিন্তু সরকারের এ বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।’ পাশাপাশি তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, সরকার আগেই জানত এই পরিস্থিতি হবে। তাহলে এত ঢিলেমি কেন? ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও ভারতীয় দূতাবাসের উচিত ছিল আগেভাগে সব ভারতবাসীকে সীমান্তে পাঠানো। এতদিন বাদে সরকার চারজন মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাঠিয়েছে, এটা তো আরও আগে করা উচিত ছিল। আজ ভারত সরকারের মানসিকতার জন্য, ইউক্রেনের সেনাদের হাতে হেনস্তা হতে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের।

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘মোদী সরকার প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়াকে তাঁদের নিজেদের দায়িত্বে ছেড়ে দিয়েছে। দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে এখন ইউক্রেনে যাওয়া পড়ুয়াদের উপরে রাগ দেখাচ্ছেন। এটা লজ্জাজনক। এই অসংবেদনশীলতা ক্ষমতার অহঙ্কারের পরিচয়। প্রহ্লাদ জোশীর উচিত পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

Related Articles

Back to top button
error: