টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বীরভূম জেলার রামপুরহাট কাণ্ডের পরেই কার্যত প্রায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত পুলিশ কর্মীর আগামী ১০ দিনের জন্য সমস্ত ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। যারা ছুটিতে আছেন তাদেরও ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে বোমা, গোলা-গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কাজে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু দুষ্কৃতী। এবার পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়া থেকে উদ্ধার হল বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ বারুদ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঠিক কী কারণে এত পরিমান বারুদ মজুত করা হয়েছিল তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরে প্রকাশ, গতকাল রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাঁশকুড়া থানার পুলিশ একটি বেআইনি বারুদ কারখানার হদিশ পায়। পাঁশকুড়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বস্তা ভর্তি বারুদ সহ একজনকে গ্রেফতার পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একসঙ্গে ৩৪ কেজি বারুদ। অভিযুক্ত বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম গোপাল বারিক। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়া থানার পশ্চিম চিল্কা গ্রামে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান পাঁশকুড়া থানার আইসি অশীষ মজুমদার। তিনি আরো বলেন এই ধরনের অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে, তবে ধৃতকে সোমবার তমলুক আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে, তবে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম গোপাল বারিক। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়া থানার পশ্চিম চিল্কা গ্রামে।