টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দু’বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকা, লক্ষাধিক মানুষের কাজ হারানো, অভিভাবকদের স্কুলের ফি দিতে না পারা এই সব ঘটনা সংবাদের শিরোনামে বারংবার উঠে এসেছে। এরইমধ্যে এবার প্রকাশ্যে এলো আরো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে শনিবার হার্টম্যান কলেজ স্কুলের কর্তৃপক্ষ ফি জমা না হওয়ার কারণে প্রায় ৩৫ জন পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেয় এবং একই সঙ্গে তাদের একটি ঘরে বন্ধ করে রেখে দেয়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং পড়ুয়াদের স্কুলের ঘর থেকে বার করে আনে। যদিও পুলিশ, প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগের তরফে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এই ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যাবেলা অভিভাবক সমিতি হার্টম্যান স্কুলের কাছে অবস্থিত পেট মলে একটি বৈঠকের আহ্বান করে। ওই বৈঠকে অভিভাবক সমিতির রাজ্য সভাপতি অঙ্কুশ সাক্সেনা জানান, কোনো কারনেই স্কুলের কাছে বাচ্চাদের বন্দী করে স্কুলে রাখার অধিকার নেই। উপরন্তু যে ধরনের অমানবিক ব্যবহার স্কুল করেছে তা ভীষন অন্যায়। বাচ্চাদের বাথরুমে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবক সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেভাবে ছুটির পরেও বাচ্চাদের বাড়িতে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই তারা মেনে নেবেন না। এই লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত অবিভাবকদের পাশে থাকবে অভিভাবক ইউনিয়ন সমিতি। রবিবারের ওই বৈঠকের পর হার্টম্যান স্কুলের অভিভাবকরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোমবার ডিএম-এসএসপির কাছে তাঁরা এই বিষয়ে জানাবেন। একইসঙ্গে অভিভাবক ইউনিয়ন সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে প্রশাসনিক ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও দেখা করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হবে। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে অভিভাবক ইউনিয়ন সমিতির তরফ থেকে। অভিভাবক ইউনিয়ন সমিতির মহানগর সভাপতি কাশিফ জামাল জানিয়েছেন, হার্টম্যান কলেজ কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে আছি এবং এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলে বিষয়টি রাজ্যস্তরে আলোচিত হবে।