কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: শুরু হয়েছে “দুয়ারে সরকার”। সুফল এর আশায় সেই কর্মসূচির ক্যাম্পে বহু মানুষ হাজির হচ্ছেন। এবার সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হাতেনাতে সুফল পেলেন এক প্রতিবন্ধী। ছিলনা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি। সেই নাম অন্তর্ভুক্তি করতে গিয়েই একটি নতুন হুইলচেয়ার উপহারস্বরূপ পেলেন সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে। তাছাড়া তিনি যে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য গিয়েছিলেন তা দ্রুত পেয়ে যাবার আশ্বাসও পেলেন।
শেখ সাবির উদ্দিন। বাড়ি সিউড়ি-২ ব্লকের কেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হারায়পুর গ্রাম। তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সেভাবে কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তার ছিল না স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের সমস্ত মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সেইমতো এখনো পর্যন্ত যারা সেই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তারাও দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের সেই শিবিরের হাজির হয়েছিলেন সেখ সাবির উদ্দিন। তার পুরনো এবং কার্যত ভাঙাচোরা হুইল চেয়ার নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। আর সেই হুইল চেয়ারের দিকে নজর পড়ে শিবিরে উপস্থিত আধিকারিকদের।
তার হুইল চেয়ারটির অবস্থা ভালো ছিল না । সেই সময় ঐ ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন
স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের প্রধান সচিব তথা ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির বীরভূম জেলার রাজ্য পর্যবেক্ষক রোশনি সেন । তখনই তিনি শেখ সাবির উদ্দিন কে একটি নতুন হুইলচেয়ার দেওয়া হবে বলে জানান। বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে একটি নতুন হুইলচেয়ার দিয়ে আসেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে গিয়ে উপরি পাওনা হিসেবে নতুন হুইলচেয়ার পেয়ে যাৎপরনাই খুশি সাবির উদ্দিন। তিনি জানান,” প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমি দারুণ খুশি হয়েছি”।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন,” এই কর্মসূচিতে ওই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি গিয়েছিলেন। সেখানে তার হুইল চেয়ারের বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই তাকে একটি নতুন হুইলচেয়ার দেওয়া হয়েছে”।