টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে না মিলতেই এবার চর্চা দলে তাঁর পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী কিংবা সভাপতির উপদেষ্টা পদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে প্রশান্তকে। মানে শুধু সোনিয়া গান্ধিই নন। দলে যিনিই সভানেত্রী বা সভাপতির পদে বসবেন, তাঁর উপদেষ্টা হিসেবেই থাকবেন পিকে।
তবে পিকে দলে এলেই যে রাতারাতি দল চাঙ্গা হবে, এমনটা মনে করেন না প্রবীণ নেতাদের একাংশ। তাঁদের আরও আপত্তি, ভোটে টিকিট বন্টনের বিষয়টি নিয়ে। সেখানে যেন প্রশান্ত কিশোর কোনওভাবে মাথা না গলান। পিকের বিরুদ্ধে রয়েছেন এ কে অ্যান্টনি, কপিল সিব্বল, অম্বিকা সোনির মতো নেতানেত্রী।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার মতো নেতানেত্রীরা চাইছেন প্রশান্ত কিশোর আসুন। দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করুন। একই মত রাহুল গান্ধিরও।
এআইসিসি’র বিশ্বস্ত একটি সূত্রের কথা মতো, কংগ্রেস সভাপতির উপদেষ্টা হিসেবেই প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগদানে ইচ্ছুক। আহমেদ প্যাটেল প্রয়াত হওয়ায় সোনিয়ার রাজনৈতিক সচিব তথা পরামর্শদাতা বলে এখন আর কেউ নেই। রাজনৈতিক মহলে অত্যন্ত পরিচিত নেতা কমলনাথকে ওই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কমলনাথের চোখ ফের মধ্যপ্রদেশ জয়ের দিকে। তাই প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেস সভাপতির উপদেষ্টার পদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পেছনে পিকের ভূমিকা এখন ওপেন সিক্রেট। এরপর জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় পিকের গুরুত্ব চড়চড়িয়ে বাড়তে শুরু করে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়াতে তো বটেই, ‘মিশন-২৪’র লক্ষ্যে মোদি বিরোধী মহাজোটের অন্যতম নেপথ্য কারিগর হিসেবে পিকে’র কৌশল কাজে দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।