দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক স্তরে

TOPSHOT - Indian visitors walk through the courtyard of Jama Masjid amid heavy smog in the old quarters of New Delhi on November 8, 2017. Delhi shut all primary schools on November 8 as pollution levels hit nearly 30 times the World Health Organization safe level, prompting doctors in the Indian capital to warn of a public health emergency. Dense grey smog shrouded the roads of the world's most polluted capital, where many pedestrians and bikers wore masks or covered their mouths with handkerchiefs and scarves. / AFP PHOTO / Sajjad HUSSAIN (Photo credit should read SAJJAD HUSSAIN/AFP/Getty Images)

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দেশে সবথেকে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তার প্রেক্ষিতে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা গ্রিনপিস দেখিয়েছে, দিল্লিতে ২০২০ সালে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫) মাত্রা হু-র নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল। প্রায় ১৭ গুণ বেশি। কলকাতায় সেই মাত্রা সাড়ে ন’গুণ এবং মুম্বইয়ে আট গুণ বেশি ছিল। হায়দরাবাদ, আমেদাবাদেও আট গুণ বা তারও বেশি ছিল পিএমের মাত্রা।
হু পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে বায়ুদূষণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলের দূষণের নিরিখে ক্রমপর্যায়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে ভারত। অর্থাৎ ভারতের স্থান তিন নম্বরেই। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির জেরে দেশে বায়ুদূষণঘটিত রোগের দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। শ্বাসরোগ, ফুসফুসের ক্যানসারের মতো রোগ আরও বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে, এমনটাই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। হু’র পরামর্শ, বাতাসে ভাসমান কণা (পিএম), ওজোন, নাইট্রোজেন যৌগ, সালফার যৌগ ইত্যাদি যাতে কমানো যায়, তার উপরেই বেশি জোর দেওয়া উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বায়ুদূষণঘটিত রোগগুলির বিষয় প্রকাশ্যে আসছে। দূষণ অবিলম্বে কমানো না গেলে ফুসফুস, শ্বাসরোগ এমনকী ক্যানসারের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা।
দূষণ কমানোর জন্য হু এর পরামর্শ, বাতাসে ভাসমান কণা (পিএম), ওজ়োন, নাইট্রোজেন যৌগ, সালফার যৌগ ইত্যাদি কমানোর উপরেই বেশি জোর দেওয়া উচিত।