টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা। সম্প্রতি চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এরপর মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা ছিলই। এরইমধ্যে কালীপুজোর রাতে প্রয়াত হন বর্ষিয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর তারপরই রদবদলের সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দায়িত্বে কে আসবেন? এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আগামীকাল মেয়াদ শেষ হতে চলেছে অমিত মিত্রের। অর্থ মন্ত্রকের ভার কে পাবেন? রাজ্য প্রশাসনিক মহলে ঘোরাফেরা করছে দুটি নাম। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং মানস ভুঁইয়া। মন্ত্রিসভায় বয়স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রথম সারিতে রয়েছেন শোভন দেব। বর্তমানে তাঁর দায়িত্বে রয়েছে কৃষিমন্ত্রক। দফতর বদলে তাঁকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী করা হতে পারে। পাশাপাশি আরেকটি নাম রয়েছে। মানস ভুঁইয়ার পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ ব্যবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেচ বিভাগের দায়িত্ব তিনি সামলেছেন। বর্তমানে তাঁর দায়িত্বে রয়েছে জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে মানস ভুঁইয়ার নামও উঠে আসছে। আগামীকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক। মনে করা হচ্ছে, তার আগেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তৃণমূলের একটি সূত্রে ইঙ্গিত, মঙ্গলবার এই রদবদলের সম্ভাবনা প্রবল। কারণ বিধায়ক না হয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভায় একজন সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ৬ মাসের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হচ্ছে। অমিত মিত্র এবার বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি। আইন অনুযায়ী, বিধায়ক না হয়েও কেউ মন্ত্রী হলে তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হয়। কিন্তু এই ছয় মাসের মধ্যে অমিত মিত্র কোনও কেন্দ্রে ভোটের দাঁড়াননি। অর্থমন্ত্রী না থাকলেও অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে অমিত মিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে সূত্রের খবর। অর্থনীতিতে অগাধ পাণ্ডিত্য এর জন্য অমিত মিত্রকে প্রশাসনিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন তামিলনাড়ুতে রয়েছেন রঘুরাম রাজন। পাশাপাশি সাধন পান্ডে অসুস্থ। সে ক্ষেত্রে ক্রেতা সুরক্ষা এবং স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্ত দফতরের দায়িত্ব গিয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর। সূত্রের খবর, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। পুর দফতর ফিরে যেতে পারে ফিরহাদ হাকিমের কাছে। অন্যদিকে দিনহাটা উপনির্বাচনে উদয়ন গুহকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে আগামীকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপনির্বাচনে জিতে আসা ৪জন বিধায়ক শপথ নেবেন। বিধানসভায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তবে সূত্রের খবর, এব্যাপারে রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়া হলেও রাজভবন থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও উত্তর মেলেনি।