নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা : ‘ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বিশিষ্ট কবি ও সমাজকর্মী গালিব ইসলাম বলেন,
“১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে ছিল হিন্দুত্ববাদীরা। তারা মানুষের মধ্যে সেই মনস্তত্ত্ব তৈরীর কাজ শুরু করে ছিল।” তিনি মনে করেন, বাবরি মসজিদের ধ্বংস সাধন কোনো বিচ্ছিন্ন বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। বরং এটি সুদীর্ঘ সময় ধরে করা সুপরিকল্পিত একটি ধ্বংসযজ্ঞ।
নিস্পলক পত্রিকা ও অরিজিৎ মিত্র স্মারক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মনোজ্ঞ আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, কনিষ্ক চৌধুরী, গালিব ইসলাম সহ অন্যান্যরা। মূলত রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতীয়দের মধ্যে বিভাজনের প্রচেষ্টা রোধেই এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান উদ্দোক্তারা।
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে, ভারতীয় সিনেমা বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের প্রচেষ্টা চলছে। সেখানে মুসলিমদের ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।” ভারতে বর্তমানে বাকস্বাধীনতার অবস্থা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “কবি কাজী নজরুল ইসলাম যদি বর্তমানে থাকতেন তাহলে অবশ্যই ইউপিএ আইনে গ্ৰেফতার হতেন এবং তার পক্ষে জেল থেকে নিস্কৃতি পাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হত না।” তিনি আরও বলেন, “আরএসএস, বিজেপিরা চায় ভারতে মুসলিমরা থাকুক কিন্তু সেই মুসলিমরা কেমন হবে তা ঠিক করে দেবে তারাই।”
কনিষ্ক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “ফ্যাসিবাদেরও জনসমর্থনের প্রয়োজন হয়।বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও সিনেমার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষে সেই মনস্তত্ত্ব তৈরী করা হয় অত্যন্ত সুকৌশলে।”